দেশে একজন ডাক্তার পিছু ৮৩৪ রোগী! তথ্য পেশ কেন্দ্রের

দেশের সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য কত ডাক্তার রয়েছেন, এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভারতী প্রবীণ পাওয়ার জানান দেশে ডাক্তার প্রতি রোগীর সংখ্যা আনুমানিক ৮৩৪ জন

দেশের জনগণনা থেকে বন্ধ রেখেছে বিজেপি সরকার। সেই পরিস্থিতিতে দেশের সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের অধিকার নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রককে প্রশ্ন করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের সাধারণ মানুষের চিকিৎসার জন্য কত ডাক্তার রয়েছেন, এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভারতী প্রবীণ পাওয়ার জানান দেশে ডাক্তার প্রতি রোগীর সংখ্যা আনুমানিক ৮৩৪ জন।

২০২৩ সালেই দেশের সব ডাক্তারদের এক প্ল্যাটফর্মে রেজিস্ট্রেশনের কাজ শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। তবে সেই রেজিস্ট্রেশনের কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ায় তথ্য দেওয়া সম্ভব হয়নি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিল এবং ন্যাশনাল মেডিকেল কমিশনের সাথে নিবন্ধিত ১৩,০৮,০০৯ অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তার রয়েছে দেশে। এছাড়া ৫.৬৫ লক্ষ আয়ুশ ডাক্তার আছে। অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তার এবং আয়ুশ ডাক্তারের ৮০% প্রাপ্যতা ধরে নিলে, দেশে ডাক্তার-জনসংখ্যা অনুপাত ১:৮৩৪। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই অনুপাতকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুপাত যা ১:১০০০, এর থেকে অনেক ভালো বলে দাবি করা হয়।

সাংসদের অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন ন্যাশানাল হেলথ মিশনের অধীনে রাজ্যগুলি থেকে প্রাপ্ত প্রস্তাবগুলির উপর ভিত্তি করে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে তাদের স্বাস্থ্য সেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য সহায়তা করা হয়। এছাড়াও দুর্গম এলাকা ভাতা প্রদান, কর্মক্ষমতা-ভিত্তিক প্রণোদনা, গ্রামীণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বাসস্থান এবং পরিবহন সুবিধা প্রদান, মানবসম্পদ নিয়োজিত করার জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচির পৃষ্ঠপোষকতার জন্য অনেকটা ছাড় দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞদের আকৃষ্ট করার জন্য রাজ্যগুলিকে আলোচনার সাপেক্ষে বেতন দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

Previous articleসন্দেশখালিতে গ্রামবাসীদের উস্কানি দেওয়া বহিরাগতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: মনোজ ভার্মা
Next articleবিচারপতির বিবৃতি নিয়ে অভিযোগ, অভিষেকের মামলা সরানোর আর্জি গ্রহণ সুপ্রিম কোর্টে