স্বাস্থ্য পরিষেবা তলানিতে! মোদিরাজ্যে ছানি অপারেশনের পর ফের দৃষ্টিশক্তি হারালেন ৭ রোগী

নিজেদের মুখ বাঁচাতে তড়িঘড়ি এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মোদি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হৃষীকেশ প্যাটেল। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ঘটনায় যারা দোষী প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

ফের সংবাদ শিরোনামে মোদিরাজ্য (Modi  State) গুজরাট (GUjrat)। এবার ডবল ইঞ্জিন রাজ্যে (Double Engine State) একেবারে তলানিতে ঠেকেছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। সময় যত গড়াচ্ছে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের দুরবস্থা আরও প্রকট হচ্ছে। ঠিক তেমনই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন রাজ্যবাসী। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা সামনে এসেছে, যাকে কেন্দ্র করে কার্যত হইচই পড়ে গিয়েছে সেখানে। অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের (Operation) পরই পুরোপুরি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন কমপক্ষে সাত রোগী। গুজরাটের এক হাসপাতালের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। আচমকা কেন এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ইতিমধ্যে বড়সড় প্রশ্নের মুখে ভুপেন্দ্র প্যাটেলের (Bhupendra Patel) ডবল ইঞ্জিন সরকার। তবে এমন ঘটনা এই প্রথম নয়, এর আগের মাসে অর্থাৎ জানুয়ারিতেও এমন ঘটনা সামনে এসেছিল। আর দ্বিতীয়বার ফের এমন ঘটনায় বড়সড় প্রশ্নের মুখে স্বাস্থ্য দফতর। আর বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। নিজেদের মুখ বাঁচাতে তড়িঘড়ি এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মোদি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হৃষীকেশ প্যাটেল। তিনি সাফ জানিয়েছেন, ঘটনায় যারা দোষী প্রমাণিত হবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু ডবল ইঞ্জিন রাজ্যের এমন ঘটনা সামনে আসতেই লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আগে বেশ বেকায়দায় পদ্ম শিবির (BJP)।

রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ২ ফেব্রুয়ারি গুজরাটের পাটান জেলার রাধাপুর শহরের একটি হাসপাতালে ছানির অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন ১৩ জন রোগী। কিছুদিন পর থেকে আচমকাই তাঁদের চোখে সমস্যা ধরা পড়ে। দিন কয়েক এভাবে চলার পর ধীরে ধীরে ৭ জন রোগী দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনা সামনে আসার পর রীতিমতো ক্ষোভে ফুঁসতে থাকেন সাধারণ মানুষ। তবে এখানেই শেষ নয়, পাটান শহরের মতোই গুজরাটের আহমেদাবাদ জেলার ১৭ জন প্রবীণ নাগরিকেরও একই অবস্থা। গত ১০ জানুয়ারি ছানি অস্ত্রোপচারের পর তাঁরাও ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি হারান বলে অভিযোগ। অস্ত্রোপচারের পর আচমকাই প্রবীণদের চোখে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। তার জেরেই দৃষ্টিশক্তি হারান তাঁরা। সেই ঘটনার তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। এমন আবহে নতুন করে ছানি অপারেশনের নামে এমন ঘটনায় রীতিমতো মোদিরাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রশ্নের মুখে। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একটি কমিটি গঠন করে শুরু হয়েছে তদন্ত।

Previous articleনরসিমাকে স্বীকৃতি দেয়নি গান্ধী পরিবার, বিস্ফোরক দাবি প্রণব কন্যার
Next articleসন্দেশখালি ইস্যুতে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা BJP-র, ‘হুমকি’র সুরে রাজ্যপালকে সময়সীমা শুভেন্দুর!