লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে অনুদান বৃদ্ধি, উলুধ্বনিতে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে রাজপথে মহিলা তৃণমূল

বঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি পরিকাঠামো, পরিষেবা ও সংস্কার, এই তিনটি দিকেই উন্নয়নের গতি বজায় রেখে বাংলার ইতিহাসে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাজেট।

বাংলার ইতিহাসে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাজেট (Budget)। এককথায় কল্পতরু বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সমাজের সকল শ্রেণির, সকল পেশার মানুষের জন্য এই জনমোহিনী বাজেট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের। একদিকে কেন্দ্রের বঞ্চনা, ন্যায্য পাওনা আটকে রাখা। অন্যদিকে, বঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি পরিকাঠামো, পরিষেবা ও সংস্কার, এই তিনটি দিকেই উন্নয়নের গতি বজায় রেখে বাংলার ইতিহাসে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাজেট।

এবার রাজ্য বাজেটে বিশেষ করে নারী ক্ষমতায়ন, মহিলাদের সম্মান ও স্বনির্ভরতার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের অনুদান বাড়ানো হয়েছে। এবার মুখ্যমন্ত্রী কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে শহরের রাজপথে মিছিল করল তৃণমূল মহিলা কংগ্রেস। শনিবার গোলপার্ক থেকে হাজরা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় মিছিল করল মহিলা তৃণমূল। মিছিলের নেতৃত্ব দিলেন মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী তথা মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এবং শশী পাঁজা। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের মহিলা কাউন্সিলরা। শুধু তাই নয়, বিরাট এই মিছিলে পা মিলিয়েছেন অনেক সাধারণ মহিলাও।

উলুধ্বনি, ধামসা মাদলে মুখরিত ছিল এই মিছিল। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, উলুধ্বনি শুভ কাজে দেওয়া হয়। লক্ষীর ভাণ্ডারের ১০০০ কে ১২০০ ও ৫০০ কে বাড়িয়ে হাজার করে রাজ্যের মহিলাদের সম্মান ও হাতকে শক্তিশালী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাই উলুধ্বনির মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছেন মহিলারা।

তাঁর সংযোজন, বাড়ির মেয়েদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা থাকতে পারে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেখিয়ে দিয়েছেন। এর আগে এমনভাবে কেউ মহিলাদের নিয়ে ভাবেননি। আর ভোটের দিকে নজর রেখে নয়, এই প্রকল্প আগেই হয়েছে। এবার বাজেটে সেই টাকা বাড়ানোর ঘোষণা করা হয়েছে। এটার সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই। যারা বলছেন এটা ভোটের জন্য তাদের বলি, মহিলাদের বোকা বানানো সহজ নয়, মহিলারাই সমাজ গড়ে। লক্ষীদের হাতেই লক্ষীর ভাণ্ডারের টাকা দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্যের আরেক মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, বিরোধীরা দিশেহারা হয়ে গিয়েছে এই বাজেট দেখে। বিজেপির কোনও অধিকার নেই মহিলাদের নিয়ে প্রশ্ন করার। এই বিজেপি বিলকিস বানোর ধর্ষণকারীদের মালা দিয়ে বরণ করে। মনিপুর নিয়ে বিজেপি কিছু বলে না, যেখানে মহিলাদের নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছে। গোটা দেশে মহিলারা নির্যাতিত। দিদি মহিলাদের সম্মান দিয়েছেন। শুধু লক্ষী ভান্ডার নয়, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে বাংলার মহিলাদের আত্মনির্ভর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কন্যাশ্রী করেছেন, রুপশ্রী করেছেন।

উল্লেখ্য, এবার রাজ্য বাজেটে বড় ঘোষণা মমতা সরকারের। মহিলাদের মানোন্নয়নের জন্য বাড়ানো হয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বরাদ্দ। এবার থেকে আর ৫০০ টাকা করে নয়, বরং তার দ্বিগুণ। অর্থাৎ ১০০০ টাকা করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাবেন বাংলার প্রত্যেকটি মহিলা। এসসি , এসটি মহিলারা পাবেন ১০০০ টাকার পরিবর্তে ১২০০ টাকা। আগামী এপ্রিল থেকেই তা কার্যকরী হবে। মে মাস থেকে তা হতে পাবেন মহিলারা।

 

Previous articleঅজিত শিবিরের মন্ত্রী খুনে ৫০ লক্ষের সুপারি! মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের কাছে নিরাপত্তার আর্জি
Next articleচূড়ান্ত ‘অসভ্যতা’! বিধানসভার অধিবেশনে তৃণমূল বিধায়ককে ‘কুৎসিত’ আক্রমণ শুভেন্দুর