চূড়ান্ত ‘অসভ্যতা’! বিধানসভার অধিবেশনে তৃণমূল বিধায়ককে ‘কুৎসিত’ আক্রমণ শুভেন্দুর

বাজেট বক্তৃতা চলাকালীন বিধানসভায় চূড়ান্ত অসভ্যতা বিজেপি। বাজেট বক্তৃতার মধ্যে তৃণমূল বিধায়কের বাবা তুলে ‘কুৎসিত’ আক্রমণ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Shabhendu Adhikari)। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার বিধানসভার অন্তরে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Arup Biswas) মধ্যস্থতা করেন। পরে অধ্যক্ষ বিষয়টিকে সামলান। এই ঘটনায় অসন্তুষ্টও স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। ক্ষুব্ধ স্পিকারের মন্তব্য, দিন দিন বিধানসভার অন্দরে বিধায়কদের আচরণ অধিবেশনের গরিমা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে।

ঘটনার সূত্রপাত বাজেট নিয়ে আলোচনায় শুভেন্দু অধিকারীর (Shabhendu Adhikari) বক্তব্যের সময়। এদিন তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিযোগ করেন, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় বরাদ্দ সঠিকভাবে ব্যবহার করছে না। এই অভিযোগ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, পঞ্চাদশ অর্থ কমিশনের বরাদ্দ থেকে বিদ্যুতের বিল মেটাচ্ছে রাজ্য সরকার। এই মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন রমেন্দু সিংহ (Ramendu Singha)। তিনি জানান, মিথ্যে অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। কেন্দ্রের মোদি সরকারের উদ্দেশ্যে ‘চোর’ ‘চোর’ স্লোগান দিতে থাকেন তারকেশ্বরের বিধায়ক। এর পরেই বক্তব্য থামিয়ে অত্যন্ত কুরুচিকর ভাবে শুভেন্দু অধিকারী রমেন্দুর উদ্দেশ্যে বলেন, “তোর বাপ চোর।”

এই কথা শোনার পরে স্বাভাবিকভাবেই মেজাজ হারান তারকেশ্বরের বিধায়ক। নিজের সিট থেকে উঠে শুভেন্দুর দিকে তেড়ে যান রমেন্দু। তাঁকে থামিয়ে দেন অরূপ বিশ্বাস। পরে তারকেশ্বরের বিধায়ক জানান, শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য রাখার সময় তিনি তাঁকে নয়, কেন্দ্রীয় সরকারকে চোর বলেছিলেন। তার পালটা শুভেন্দু অধিকারীর আক্রমণে তিনি অত্যন্ত আহত হয়েছেন। তিনি বিষয়টি অধ্যক্ষের নজরেও এনেছেন।

স্পিকার বলেন, “এই ধরনের ঘটনা কখনওই কাম্য নয়। আমি সকলকে সংযত হওয়ার জন্য আবেদন করব।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “অধিবেশনের পর তারকেশ্বরের বিধায়ক আমার কাছে এসেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, বিরোধী দলনেতা বাবা তুলে আক্রমণ করার জেরে সাময়িকভাবে উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এই আচরণের জন্য তিনি দুঃখিত।”

Previous articleলক্ষ্মীর ভাণ্ডারে অনুদান বৃদ্ধি, উলুধ্বনিতে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়ে রাজপথে মহিলা তৃণমূল
Next articleভবিষ্যজ্যোতি অ্যাওয়ার্ডস অফ এক্সেলেন্স, প্রতিভাবানদের স্বীকৃতি অ্যাডামাসের