আজ কী ঘটেছিল?

নবীনচন্দ্র সেন (১৮৪৭-১৯০৯) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। অবিভক্ত ভারতবর্ষে চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার অন্তর্গত পশ্চিম গুজরার (নোয়াপাড়া) প্রাচীন জমিদার পরিবারে তাঁর জন্ম। নবীনচন্দ্রের প্রথম কবিতা ‘কোন এক বিধবা কামিনীর প্রতি’ প্রকাশিত হয় ‘এডুকেশন গেজেট’ পত্রিকায়। তখন তিনি এফএ শ্রেণির ছাত্র। তাঁর প্রথম বই ‘অবকাশরঞ্জনী’র প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হয় ১২৭৮ বঙ্গাব্দের পয়লা বৈশাখ এবং দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয় ১৮৭৮ সালের ২৯ জানুয়ারি। তাঁর উল্লেখযোগ্য কাব্যগুলি হল পলাশির যুদ্ধ (১৮৭৫), রৈবতক (১৮৮৭), কুরুক্ষেত্র (১৮৮৩) এবং প্রভাস (১৮৯৭)। শেষের কাব্য তিনটি আসলে একটি বিরাট কাব্যের তিনটি স্বতন্ত্র অংশ। তাঁর আত্মকথা আমার জীবন একটি উপন্যাসের মতো সুখপাঠ্য গ্রন্থ। তিনি ‘ভানুমতী’ নামে একটি উপন্যাসও রচনা করেছিলেন।

১৯৩০ অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় (১৮৬১-১৯৩০) এদিন প্রয়াত হন। গবেষণা ও ইতিহাস চর্চার প্রতি তাঁর প্রবল আগ্রহ ছিল এবং এর জন্য তিনি তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন। এ উদ্দেশ্যে তিনি দীর্ঘকাল ধরে সাহিত্য ও প্রত্নতাত্ত্বিক উভয়বিধ উৎস থেকে তথ্যাবলি সংগ্রহ করেন। তিনি বাংলার প্রাচীন ও মধ্যযুগীয় ইতিহাস, শিল্পকলা ও পটশিল্প সম্পর্কে গভীর ও প্রামাণিক জ্ঞান অর্জন করেন। তিনি ঐতিহাসিক চিত্র (১৮৯৯) শিরোনামে সিরাজউদ্দৌলা, মীর কাসিম, রানী ভবানী, সীতারাম, ফিরিঙ্গি বণিক প্রমুখ ব্যক্তিকে নিয়ে ইতিহাস বিষয়ক প্রথম বাংলা সাময়িক পত্রিকা প্রকাশ করেন। যুগপৎ তিনি বাংলার রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ইতিহাস, ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন স্থান, শিল্পকলা ও পটশিল্প সম্পর্কে তথ্যমূলক নিবন্ধও প্রকাশ করেন। ১৯১২ সালে প্রকাশিত গৌড়লেখমালায় তিনি কয়েকটি পাল তাম্রশাসন ও শিলালিপি বাংলা অনুবাদ-সহ সম্পাদনা করেন। এতে করে বাংলা ভাষায় ঐতিহাসিক গবেষণার নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হয়।

১৯৭৪ পাহাড়ী সান্যাল (১৯০৬-১৯৭৪) এদিন শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হয়ে উঠতে পারতেন অতুলপ্রসাদ সেনের ‘দিনু ঠাকুর’ কিংবা ভারতীয় সংগীত মহলের এক পণ্ডিত গাইয়ে। হতে পারতেন ভারতীয় সিনেমার দ্বিতীয় সায়গলও। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে হয়ে উঠলেন অনন্য এক অভিনেতা। প্রমথেশ বড়ুয়া, সায়গল, দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, ছবি বিশ্বাস, কমল মিত্র, বিকাশ রায়দের সেই বিস্মৃতপ্রায় যুগের এক কুশীলব। সময়টা গত শতাব্দীর তিনের দশক। অভিনয়দক্ষতা, দরাজ মন, গানের গলা, নবাবি মেজাজ সব মিলিয়ে পাহাড়ী ছিলেন একজন অনন্য ব্যক্তিত্ব। সন্দীপ রায়ের মনে পড়ে, “ওঁর একটা হুডখোলা ভক্সহল গাড়ি ছিল। সেই গাড়িতে চড়ে উনি কলকাতা শহর ঘুরে বেড়াতেন। লার্জার দ্যান লাইফ পার্সোনালিটি ছিল।”

২০১৬ অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় (১৯১৮-২০১৬) এদিন প্রয়াত হন। চলচ্চিত্র পরিচালক। শিল্প উৎকর্ষের দিক দিয়ে তিনি প্রথম সারিতে। কিন্তু সবাক যুগ শুরু হওয়ার পরে বাংলা সিনেমার যা চরিত্রলক্ষণ হয়ে উঠল সেই গল্প বলার ক্ষমতা অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় প্রখর তৎপরতায় আয়ত্ত করেছিলেন। তিনি একটি উত্তম কাহিনিকে শ্রুতি ও দৃশ্যের মধ্য দিয়ে বর্ণনা করাকেই জীবনের মূল পাথেয় ভাবতেন। তাঁর ষাট ও সত্তর দশকের ছবিতে সাধারণ বাঙালি মধ্যবিত্তের এক ধরনের আত্মপরিচয় নথিভুক্ত আছে। যে মধ্যবিত্ত দৈন্য ও দুঃখকে জানেন কিন্তু জীবনের অচরিতার্থতা তাঁকে স্পর্শ করে না, যে জীবনকে হঠাৎ ছুটির দুপুরের মতো গান ও হাসিকান্নার মধ্যেও খুঁজে পান, অরবিন্দ মুখোপাধ্যায় তার জন্যেই বানিয়ে গিয়েছেন একের পর এক ছবি।

১৯৭৯ আয়াতুল্লা খোমেনির নেতৃত্বে এদিন ইরানে ইসলামি বিপ্লব সম্পন্ন হয়। এর মধ্য দিয়ে সেখানে পাহলভি রাজবংশের শাসনের অবসান হয়। ইসলামি প্রজাতন্ত্র হিসাবে ইরান আত্মপ্রকাশ করে। বিপ্লবের পর তাদের শাসনতন্ত্রের পরিবর্তন হয়।

১৮৯৮ বারটল্ট ব্রেখটের (১৮৯৮-১৯৫৬) জন্মদিন। এই জার্মান নাট্যকারের অমর নাটকগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘দ্য থ্রি পেনি অপেরা’, ‘লাইফ অফ গ্যালেলিও’, ‘মিঃ ur পুন্তিলা অ্যান্ড হিজ ম্যান মাত্তি’ ইত্যাদি। বঙ্গ রঙ্গমঞ্চ, বিশেষত গ্রুপ থিয়েটার ব্রেখটের বহু নাটকের বঙ্গীয়করণ দেখেছে। যেমন, ‘তিন পয়সার পালা’, ‘পন্তু লাহা’, ‘পাঁচু ও মাসি’ প্রভৃতি।


Previous articleআজ লাল-হলুদের সামনে নর্থইস্ট, জয় লক্ষ্য ইস্টবেঙ্গলের
Next articleশর্ত সাপেক্ষে মিলল ত্রিবেনী কুম্ভ মেলার অনুমতি !