সন্দেশখালির অশান্তির ‘নেপথ্যে’ প্রাক্তন বাম বিধায়ক, পুলিশের হাতে আটক

তাণ্ডবের ঘটনায় শিবু হাজরা থানায় যে অভিযোগ করেন তাতে প্রথমেই নাম ছিল সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের নাম। সেই অভিযোগ অনুযায়ী রবিবার সকালে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ তাঁর বাঁশদ্রোণীর বাড়ি গিয়ে তাঁকে থানায় ডেকে এনে আটক করে

দুদিন ধরে সন্দেশখালিতে বিক্ষোভ ও পরে তাণ্ডব চালানোর পর রবিবার সকাল থেকে অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে এলাকা। সেই তাণ্ডবের সময় তৃণমূল নেতা শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্ম, মাছের ভেড়ির অফিস ও বাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনায় রবিবার সকালে সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দারকে আটক করল বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। এর পরই সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা বাঁশদ্রোণী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।

শনিবারই সন্দেশখালি এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামে। জেলা ও রাজ্যের পুলিশ কর্তারাও বাড়ি বাড়ি ঘুরে ৭ ফেব্রুয়ারি তাণ্ডবের ঘটনার তদন্ত করেন। এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে অভব্য আচরণ ও টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে প্রথমে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার ও পরে গ্রেফতার হন জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য উত্তম সর্দার। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ স্পষ্টভাবে বলেন অশান্তি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ তদন্ত করে সঠিক অপরাধীদের ধরার কাজ শুরু করে দিয়েছে। তৃণমূলের দাবি অশান্তি বাঁধালে দল নির্বিশেষে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। যার উদাহরণ উত্তম সর্দারের গ্রেফতারি।

তাণ্ডবের ঘটনায় শিবু হাজরা থানায় যে অভিযোগ করেন তাতে প্রথমেই নাম ছিল সন্দেশখালির প্রাক্তন সিপিআইএম বিধায়ক নিরাপদ সর্দারের নাম। সেই অভিযোগ অনুযায়ী রবিবার সকালে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ তাঁর বাঁশদ্রোণীর বাড়ি গিয়ে তাঁকে থানায় ডেকে এনে আটক করে। এরপরই স্থানীয় বাম কর্মী সমর্থকরা থানার বাইরে বিক্ষোভে সামিল হন। সিপিআইএম নেতা বিকাশ রায়চৌধুরির অভিযোগ, শিবু হাজরাকে আড়াল করার জন্য প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

যদিও বামেদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তাঁর দাবি, পুলিশ গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করছে। কারা কারা সেদিনের ঘটিয়েছে তাদের গ্রেফতার করছে। তৃণমূলের কেউ যুক্ত থাকলেও গ্রেফতার হবে। সিপিআইএমের কেউ যুক্ত থাকলে তাঁকেও গ্রেফতার করা হবে।

Previous articleআজ কী ঘটেছিল জানেন?
Next articleভারতীয় দল নয়, পৃথ্বীর লক্ষ্য অন্য, জানালেন মুম্বইয়ের তরুণ ব্যাটার