আজ কী ঘটেছিল জানেন?

রমেশচন্দ্র মজুমদার(১৮৮৮-১৯৮০) এদিন প্রয়াত হন। ইতিহাসবিদ। ১৯১৪-তে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসের অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৩৬ থেকে ১৯৪২ সালে পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস ও ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের ওপর অনেক কাজ করেছেন।

১৯৭৪ সৈয়দ মুজতবা আলি (১৯০৪-১৯৭৪) প্রয়াত হন। ‘অত কথায় কাজ কি, আমি যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসেছি, পৃথিবী একডাকে তাকে চেনে— রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতী…’ কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ে আত্মপরিচয় দিতে গিয়ে বলেছিলেন সৈয়দ মুজতবা আলি। পাণ্ডিত্য আর হৃদয়বেত্তার সঠিক আনুপাতিক মিশেলে যিনি হাস্যরসকে বাংলা সাহিত্যে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, কিছুটা প্রতিষ্ঠান-বিরোধী, বর্ণময় এই মানুষটির জীবন পুরোপুরি রবীন্দ্ররসে জারিত ছিল। তাঁর কাবুলযাত্রার বিবরণ ‘দেশে বিদেশে’ পড়ে মানসভ্রমণ করেননি এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই বইটির মাধ্যমেই সৈয়দ মুজতবা আলি বাংলা সাহিত্যের একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করলেন।

১৯৬২ সজনীকান্ত দাস (১৯০০-১৯৬২) এদিন শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সাহিত্যের প্রায় সকল শাখায় তাঁর অবাধ বিচরণ। ‘শনিবারের চিঠি’ পত্রিকার সম্পাদক হিসাবে তীব্র অথচ হাস্যরসাত্মক সমালোচনার মাধ্যমে তিনি সমকালীন সাহিত্যকর্মকাণ্ডে বিশেষ প্রাণসঞ্চার করছিলেন। ১৯৪৬-তে প্রকাশিত সজনীকান্ত বিরচিত ‘বাঙ্গালা গদ্যের প্রথম যুগ’ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে অন্যতম প্রধান সংযোজন।

১৯৪৪ সালে বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত (১৯৪৪-২০২১) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। চিত্র পরিচালক। ‘স্বপ্নের দিন’ ও ‘উত্তরা’ ছবির জন্য পরিচালক হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। এ-ছাড়া তাঁর ৫টি ছবি সেরা ছবির শিরোপা পেয়েছিল জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রতিযোগিতায়। বাংলার সেরা ফিচার ফিল্মের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে তাঁর আরও দু’টি ছবি— ‘দূরত্ব’ এবং ‘তাহাদের কথা’। চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করলেও তাঁর চলাচল ছিল সাহিত্য জগতেও। কবি বুদ্ধদেবের কলমে উঠে এসেছে একাধিক কবিতা, যা নিয়ে আজও চর্চা হয়। তাঁর কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘রোবটের গান’, ‘ছাতা কাহিনি’, ‘গভীর আড়ালে’ ইত্যাদি।

১৮৮২ সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (১৮৮২-১৯২২) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। ‘ছন্দের জাদুকর’ রূপে বিখ্যাত। ভারতী পত্রিকাগোষ্ঠীর অন্যতম বিশিষ্ট কবি। প্রথম জীবনে তিনি মাইকেল মধুসূদন দত্ত, দেবেন্দ্রনাথ সেন, অক্ষয়কুমার বড়াল প্রমুখের দ্বারা প্রভাবিত হন। পরে রবীন্দ্রানুসারী হলেও তিনি কবি-স্বভাবে হয়ে ওঠেন স্বতন্ত্র। তিনি নানাবিধ ছন্দনির্মাণ ও ছন্দ-উদ্ভাবনে বিশেষ পারদর্শী ছিলেন। বাংলা ভাষার নিজস্ব বাগ্‌ধারা ও ধ্বনি সহযোগে নতুন ছন্দসৃষ্টি তাঁর কবিপ্রতিভার মৌলিক কীর্তি। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনাবলি : ‘সবিতা’, ‘সন্ধিক্ষণ’, ‘বেণু ও বীণা’, ‘হোম শিখা’, ‘ফুলের ফসল’, ‘কুহু ও কেকা’, ‘তুলির লিখন’, ‘অভ্র-আবীর’, ‘হসন্তিকা’, ‘বেলা শেষের গান’, ‘বিদায়-আরতি’, ‘কাব্যসঞ্চয়ন’, ‘শিশু-কবিতা’ ইত্যাদি।

১৮৬১ ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় (১৮৬১-১৯০৭) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় স্বদেশি আন্দোলনের কট্টরপন্থী নেতা, বাগ্মী, পণ্ডিত, ‘সন্ধ্যা’ পত্রিকার সম্পাদক। পিতৃদত্ত নাম ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের নেওয়া নতুন ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায় নামেই পরিচিত হন। ঘুরে বেড়ান সিন্ধু প্রদেশ, হায়দরাবাদ প্রভৃতি অঞ্চলে। ক্যাথলিকদের মুখপত্র ‘সোফিয়া’ পত্রিকায় ব্রহ্মবান্ধব প্রথম রবীন্দ্রনাথকে ‘বিশ্বকবি’ (‘World-Poet’) আখ্যা দেন। সারা জীবন বিতর্ক বয়ে বেড়ানো এমন এক বর্ণময় চরিত্রের মানুষের প্রতি রবীন্দ্রনাথও কম আকর্ষণ অনুভব করেননি। ‘চার অধ্যায়’ উপন্যাসে ব্রহ্মবান্ধবের ছায়া তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

১৮৪৭ টমাস আলভা এডিসন (১৮৪৭-১৯৩১) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। ছোট থেকেই অন্ধুসন্ধিৎসু মন থাকলেও বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক ফ্যারাডের মতো তিনিও অঙ্কে নিতান্ত কাঁচা ছিলেন। ভাল লাগার বিষয় ছিল বিজ্ঞান, বিশেষ করে রসায়ন। সারাজীবনে মোট ১৪০০ যন্ত্রের জন্য পেটেন্ট নিয়েছেন।


Previous articleGold Silver Rate: আজ সোনা রুপোর দাম কত? জেনে নিন এক ঝলকে
Next articleসন্দেশখালির অশান্তির ‘নেপথ্যে’ প্রাক্তন বাম বিধায়ক, পুলিশের হাতে আটক