ফের এইমসে (AIIMS) ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। হস্টেলের (Hostel) ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়ে ওই পড়ুয়া আত্মঘাতী (Suicide) হয়েছেন বলে খবর। হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) বিলাসপুরের এইমসের ঘটনা। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম পরীক্ষিত (২০)। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ইন্দরের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। এইমসে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বাড়ছে উদ্বেগ। তবে দেশের একাধিক হাই প্রোফাইল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগাতার ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন। লেখাপড়ার পাশাপাশি পড়ুয়াদের মানসিক বিকাশে জোর দেওয়ার কথা বারবার বলা হলেও ফের এমন ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন পরীক্ষিত। তাঁর বাবা-মা দু’জনেই পেশায় চিকিৎসক। রবিবার পড়ুয়ার ঝাঁপ দেওয়ার বিষয়টি নজরে আসতেই তাঁকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালের আপৎকালীন বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপর খবর পেয়ে পরীক্ষিতের বাবা-মাও হাসপাতালে পৌঁছন। তবে ঠিক কী কারণে পরীক্ষিত এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পাশাপাশি পরীক্ষিতের রুমমেটের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, রবিবার সকালে তাঁর সঙ্গে ঘরের ভিতরেই ছিলেন পরীক্ষিত। সকাল ১১টা ২০ মিনিটে বাথরুম যাওয়ার নাম করে ঘর থেকে হঠাৎ করেই বেরিয়ে যান। পরীক্ষিতের রুমমেটের দাবি, পাঁচ মিনিট পর জোর শব্দ শুনতে পান তিনি। বাইরে বেরিয়ে দেখেন পরীক্ষিত হস্টেল থেকে ঝাঁপ দিয়েছেন। তবে তাঁর মৃত্যুর পিছনে আসল কারণ কী তা এখনও জানা যায়নি। পরীক্ষিতের রুমমেট ছাড়াও অন্যান্য পড়ুয়া ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে মৃত্যুর আসল কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতিমধ্যে পড়ুয়ার ময়নাতদন্তের কাজ শেষ হয়েছে। রিপোর্ট হাতে এলেই সব সত্য জানা যাবে বলে মত পুলিশের। তবে পড়ুয়ার ঘর থেকে মেলেনি সুইসাইড নোটও।