ধান জমিতে বায়ুসেনার বোমা! ক্ষতিগ্রস্ত ট্রান্সফর্মার, চাঞ্চল্য সাঁকরাইলে

বায়ুসেনার তরফে দাবি করা হয়েছে যে বোমাটি সেটি ফায়ারিং রেঞ্জের মধ্যেই পড়েছে। সেটি ৪ লাখ ভোল্টের একটি তারে হিট করে

এক চুল এদিক থেকে ওদিক হলে প্রাণ যেতে পারত নিরীহ গ্রামবাসীদের। তবে মানুষের মৃত্যু না হলেও ধান জমির (Paddy field) যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। আর সবকিছুর জন্য দায়ী ভারতীয় বায়ুসেনার (Indian Air Force) ছোড়া একটি বোমা। শুনতে একটু অবাক লাগলেও ঝাড়গ্রাম (Jhargram) জেলার সাঁকরাইলে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয় এই ঘটনায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এয়ারফোর্সের কলাইকুন্ডা ঘাঁটিতে (Kalailunda Air base) পরীক্ষামূলকভাবে বোমা ছোড়ার প্রশিক্ষণ চলছিল। আচমকাই লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে একটি বোমা বিদ্যুতের হাইটেনশন তারে ধাক্কা খেয়ে পড়ে পাশের ধানের জমির উপর। তারপর বিকট শব্দে ফেটে যায়। আতঙ্কের ঘোর কাটছে না এলাকাবাসীর।

কখনও বিএসএফের অন্যায় আর অপদার্থতার জন্য ছোট শিশুরা মারা যাচ্ছে, কখনও আবার ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্থ বায়ুসেনার (Indian Air Force) ছোড়া বোমা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলছে। সোমবার সাঁকরাইল ব্লকের কেশিয়াপাতা এলাকার পেঁচাবিদা ও চেমটিডাঙা গ্রামের রাস্তার পাশে দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ ধান জমিতে একটি বোমা পড়ে। তার জেরেই কেঁপে ওঠে গোটা গ্রাম। ফাটল ধরে গ্রামের একাধিক মাটির বাড়িতে, ধান জমির পাশে থাকা বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার ও জমিতে জল দেওয়ার পাম্প পুড়ে যায়। বোমার তীব্রতায় গ্রামের একাধিক বাড়ির চালা উড়ে যায় বলে খবর।কেঁপে ওঠে চামটিডাঙ্গা, পেঁচাবিন্ধা, জোড়াশাল, হাঁড়িভাঙ্গা গ্রাম। চাষের জমিতে ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ক্ষতিপূরণের দাবি তুলেছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। কলাইকুন্ডা বায়ুসেনার প্রশিক্ষণ চলাকালীন বোমা নিক্ষেপের জায়গা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে বোমা নিক্ষেপ করে প্রশিক্ষণরত ফাইটার বিমান। বায়ুসেনার তরফে দাবি করা হয়েছে যে বোমাটি সেটি ফায়ারিং রেঞ্জের মধ্যেই পড়েছে। সেটি ৪ লাখ ভোল্টের একটি তারে হিট করে ও তার ছিঁড়ে দেয়। এই বিদ্যুৎ পরিষেবার একটি সাইট বন্ধ রাখা হয়েছে এবং অন্য একটি সাইট চালু রয়েছে। গ্রামবাসীরা বলছেন, তাদের ফলনশীল জমির এমন অবস্থা যে আগামী চার-পাঁচ বছরেও সেখানে কোনও চাষের কাজ করা যাবে না। মাথায় হাত কৃষকদের।ভাগ্যক্রমে সেই সময় মাঠে কোনও চাষী কাজ করছিলেন না।তা না হলে বিপদ যে কতটা মারাত্মক হতে পারতো তা ভেবে শিউরে উঠছেন স্থানীয়রা। ভারতীয় বায়ুসেনা কী ভাবে এত দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করতে পারে তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।



Previous articleসিঙ্গল স্ক্রিনে ইতি, ‘এলিট’ হল ইতিহাস
Next articleসন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা বাতিল করল হাই কোর্টে, আরও সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ