সিঙ্গল স্ক্রিনে ইতি, ‘এলিট’ হল ইতিহাস

পাঁচ বছর আগে হাত বদল হয় এই সিনেমা হলের। তা সত্ত্বেও এলিট সিনেমা হলের অবস্থান শহরের এমন এক জায়গায় যেখানে দৈনিক কাটতি কিছুটা হলেও ছিল। কিন্তু মাল্টিপ্লেক্সের বাজারে সিঙ্গল স্ক্রিনে আগ্রহ কমেছে হল মালিকদের।

‘ওই দেখো এখানে ছিল এলিট সিনেমা হল’, আজ থেকে বছর দুয়েক পরেই ধর্মতলার দিকে ছেলেমেয়েকে নিয়ে যাওয়ার সময় এভাবেই দেখাতে হবে ভগ্নপ্রায় এলিট সিনেমা হলের জায়গাটি। আর এভাবেই চোখের সামনে এলিট সিনেমা হল – নামটাই ইতিহাস হয়ে যাবে।

করোনা পরিস্থিতির পর থেকে গোটা শহর থেকে কার্যত মুছে যেতে শুরু করেছে সিঙ্গল স্ক্রিন সিনেমা হল। মধ্য কলকাতার গ্লোব, লাইট হাউস, প্যারাডাইস, চ্যাপলিন – সবই একে একে হারিয়ে গিয়েছে। সেই সব জায়গা দখল করেছে শপিং মল থেকে মাল্টি ন্যাশানাল শোরুম। হয়তো সময়ের সঙ্গে এভাবেই বদলায় শহর।

করোনার সময় গোটা বিশ্বে চরম সংকটে পড়েছিল সিনেমা জগৎ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও অনলাইন মাধ্যম আর ওটিটর চাপে হলের থেকে মুখ ফিরিয়েছে দর্শকরা। পাঁচ বছর আগে হাত বদল হয় এই সিনেমা হলের। তা সত্ত্বেও এলিট সিনেমা হলের অবস্থান শহরের এমন এক জায়গায় যেখানে দৈনিক কাটতি কিছুটা হলেও ছিল। কিন্তু মাল্টিপ্লেক্সের বাজারে সিঙ্গল স্ক্রিনে আগ্রহ কমেছে হল মালিকদের।

এবার তাই ধুয়ে মুছে সাফ হওয়া শুরু এলিট সিনেমাহলের। ধর্মতলার একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়ে দাঁড়িয়ে থাকা এই সিনেমা হলের বাড়িটি ইতিমধ্যেই ভাঙা হয়ে গিয়েছে। শোনা যাচ্ছে কোনও বহুজাতিক সংস্থার জুতোর শোরুম হতে পারে সেখানে। আর সেই দিকেই তাকিয়ে হয়তো খুব শিগ্গির আমাদেরও বলতে হবে ‘এখানেই ছিল এলিট সিনেমা হল’।

Previous articleআগামিকাল গোয়ার বিরুদ্ধে নামছে মোহনবাগান, অ্যাওয়ে ম্যাচে তিন পয়েন্ট লক্ষ্য হাবাসের
Next articleধান জমিতে বায়ুসেনার বোমা! ক্ষতিগ্রস্ত ট্রান্সফর্মার, চাঞ্চল্য সাঁকরাইলে