সুকান্তর ‘এনকাউন্টার’ ফতোয়া, পাল্টা ধুয়ে দিলেন কুণাল

এটা যোগীর উত্তরপ্রদেশ হলে এতক্ষণ শেখ শাহাজাহান বা শিবু হাজরার জন্য শ্মশানে অপেক্ষা করতে হবে তাঁদের পরিবারকে, বেনজির আক্রমণ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।

সন্দেশখালিতে মহিলাদের ওপর অত্যাচার করা হত । এদের এনকাউন্টার করে মারা উচিত । অপরাধ করার পরেও কেন অপরাধীরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াবে । এটা যোগীর উত্তরপ্রদেশ হলে এতক্ষণ শেখ শাহাজাহান বা শিবু হাজরার জন্য শ্মশানে অপেক্ষা করতে হত তাঁদের পরিবারকে, বেনজির আক্রমণ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের।
এর পাল্টা তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, এটা একটা স্বৈরাচারী ফতোয়া। এনকাউন্টার করে দেওয়া উচিত, এটা কোনও গণতন্ত্রের ভাষা হতে পারে না।সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। একইসঙ্গে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের আন্দোলনের সঙ্গে সন্দেশখালির ফারাকও বোঝান কুণাল।

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কুণাল বলেন, নন্দীগ্রাম বা সিঙ্গুরে যে গণ আন্দোলন হয়েছিল, সেখানে অভিযোগ ছিল সরকারের বিরুদ্ধে। পুলিশের বিরুদ্ধে। কিন্তু সন্দেশখালিতে সরকারের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের কোনও অভিযোগ নেই বলেই দাবি কুণালের। মঙ্গলবার তৃণমূল মুখপাত্র বললেন, সন্দেশখালি বলে যতটা রটনা হচ্ছে, ঘটনা ততটা নয়। বিকৃত ও অতিরঞ্জিত। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের সঙ্গে যাঁরা তুলনা করছেন, তাঁরা মনে রাখবেন সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামে মানুষের অভিযোগ ছিল সরকারের বিরুদ্ধে, পুলিশের বিরুদ্ধে। সন্দেশখালিতে সরকারের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। এমনকী,পুলিশের ভূমিকার কথাও এদিন তুলে ধরেন কুণাল। বললেন, মানুষ লাঠি-সোটা নিয়ে বিক্ষোভ করছে। কিন্তু একটা ছবি দেখাতে পারবেন যে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস বা গুলি চালিয়েছে? এটা বাম জমানার ট্রিগার হ্যাপি পুলিশ নয়।
তৃণমূল মুখপাত্রের সাফ কথা, যদি কোনও অভিযোগ থাকে, তা কোনও বিচ্ছিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এর সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক নেই। যদি কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকে, দল ব্যবস্থা নিয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে।