নিষ্ফলা মধ্যরাতের বৈঠক, আজ কৃষকদের ‘দিল্লি চলো’ অভিযান, ভয় পাচ্ছে মোদি সরকার!

কৃষকনেতা সারওয়ান কেন্দ্রকে তোপ দেগে বলেন যে, তাঁদের ন্যায্য দাবি সরকার পূরণ করবে, এমনটা কৃষকরা আশা করছেনা। এই সরকার কৃষকদের পাশে নেই সেটা ফের প্রমাণিত।

২০০টি কৃষক সংগঠন ‘দিল্লি চলো’ অভিযানে আজ অংশ নিতে চলেছে। শেষ মুহূর্তে প্রতিবাদী কৃষকদের আন্দোলনের পথ থেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করেছিল কেন্দ্র (Central Government)। সেইমতো সোমবার মধ্যরাতে চণ্ডীগড়ে কৃষকদের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী অর্জুন মুন্ডা (Agriculture Minister Arjun Munda) এবং কেন্দ্রীয় ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। কিন্তু বলাইবাহুল্য পাঁচ ঘণ্টার বৈঠকের শেষেও কোনও রফাসূত্র মেলেনি। কৃষকদের কর্মসূচির (Farmer’s Movement) আগেই রাজধানী এবং সংলগ্ন এলাকা জুড়ে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। মোদি সরকার (Modi Government) নিজের আসল চেহারা দেখাতে শুরু করে দিয়েছে। পাঞ্জাব, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশের কৃষকদের দিল্লি অভিযান ঘিরে আঁটোসাটো নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে রাজধানী দিল্লিকে। হরিয়ানা থেকে দিল্লি পর্যন্ত সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। একদিকে অশান্ত সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা লাগু করার ঘটনায় তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিরোধীরা। অথচ এই বিজেপিরই অন্যরূপ ধরা পড়ল দিল্লিতে। নিরস্ত্র, শান্তিপূর্ণ কৃষকদের রুখতে রীতিমতো দাঁত নখ বের করম মোদি সরকার। কৃষকদের আন্দোলনকে ভয় পাচ্ছে বিজেপি?কৃষকনেতা সারওয়ান কেন্দ্রকে তোপ দেগে বলেন যে, তাঁদের ন্যায্য দাবি সরকার পূরণ করবে, এমনটা কৃষকরা আশা করছেনা। এই সরকার কৃষকদের পাশে নেই সেটা ফের প্রমাণিত। যদি সরকার কিছু দিত, তা হলে আন্দোলনের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা যেত কিন্তু বিজেপি সরকার সেই পথে হাঁটতে রাজিই নয় বলেই অভিযোগ তাঁর।

গাজীপুর, সিংঘু এবং হরিয়ানা থেকে দিল্লিতে প্রবেশ করার সমস্ত পথ ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে ৫ হাজারেরও বেশি পুলিশ কর্মী । বড় বড় লোহার বিম এবং লোহার ব্যারিকেট দিয়ে সিল করা হয়েছে সীমান্তবর্তী এলাকা গুলো। রাস্তা জুড়ে লাগানো হয়েছে পেরেক যাতে, কৃষকদের সাথে আসা গাড়ি গুলো কোনভাবেই দিল্লিতে প্রবেশ করতে না পারে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে কৃষকদের আটকাতে মোদি সরকার যেভাবে তৎপরতা শুরু করেছে তাতে এনারা কী কৃষক? নাকি ভয়ঙ্কর কোনও জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলে মনে করছে সরকার? অথচ এই বিজেপিই (BJP) বাংলার অশান্ত সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি হলে মানবিকতা, মৌলিক অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এগুলি কি তবে দিল্লিতে আন্দোলনকারী কৃষকদের জন্য প্রযোজ্য নয়? অভিযান শুরু হলে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয় সেটাই দেখার।


Previous articleToday market price :  আজকের বাজার দর
Next articleমঙ্গলের সকালে বৃষ্টি শুরু, সরস্বতী পুজোয় ভিজবে ১৮টি জেলা!