মুখ্যমন্ত্রীর মুখে প্রশংসা শুনে আপ্লুত চন্দননগরের সূর্য কুমার মোদকের কর্ণধার

হুগলির আরামবাগের (Arambagh )সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে চন্দননগরের সূর্য কুমার মোদকের জলভরা সন্দেশের ভূয়সী প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। এমনকী জলভরা নিয়ে স্মৃতি রোমন্থনও করতে দেখা যায় তাঁকে। আর মুখ্যমন্ত্রীর মুখে প্রশংসা শুনে আপ্লুত দোকানের বর্তমান কর্ণধার শৈবাল মোদক (Saibal Modak)।


সোমবার আরামবাগের মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সূর্য মোদকের মিষ্টি এখানকার খুবই ফেভারিট, সবাই খায়, আগে আমি নিয়ে যেতাম যখন অটলজি বেঁচে ছিলেন, তিনি খুব ভালোবাসতেন মিষ্টি খেতে, আর মালপোয়া খেতে। আমি সূর্য মোদকের দোকান থেকে…, আকবার আলি খন্দকর বেঁচেছিল, ও কিন্তু নিয়ে যেত এবং দিত। আজকেও আমি দেখলাম স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েরা যে স্টল করেছে সেখানে।
মুখ্যমন্ত্রীর এহেন প্রশংসার প্রেক্ষিতে মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠানের বর্তমান কর্ণধার শৈবাল মোদক বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের জলভরা সম্পর্কে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। “তিনি ভালোবাসেন আমাদের এবং আমরা যতবার জলভরা তাঁর জন্য নিয়ে গিয়েছি, তিনি নিয়েছেন।” একইসঙ্গে শৈবাল জানান, জলভরা যাতে জিআই তকমা পায়, তার জন্য চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। ২০২২ সালে জিআই-এর জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যেই এসডিও-র কাছে এই সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, হুগলি জেলার মিষ্টির এমনিতেই সারা রাজ্যে তথা ভিনরাজ্যেও যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে। জেলায় বেড়াতে এলে, অনেকেই এখানকার মিষ্টি নিয়ে যান। তার মধ্যে যেমন রয়েছে, গুপ্তিপাড়ার মাখা সন্দেশ, তেমনই আবার রয়েছে চন্দনগরের এই জলভরা। আজও এই জলভরার জনপ্রিয়তা একইরকম। বহু মানুষই চন্দননগর থেকে এই মিষ্টি কিনে নিয়ে যান পরিবার পরিজনের জন্য। এককথায় বলতে গেলে চন্দনগরের অন্যতম গর্ব এই জলভরা। আর এবার প্রকাশ্যে সেই মিষ্টিকেই দরাজ সার্টিফিকেট দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশংসা জলভরার কারিগরদের আরও উৎসাহ দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Previous articleচোপড়ায় শিশুমৃত্যুতে কড়া পদক্ষেপ করুক কেন্দ্র: BSF-কে নিশানা করে গর্জে উঠলেন মমতা
Next article“রাজনীতি আমার জন্য নয়”! মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ সাংসদ-অভিনেত্রী মিমির