নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সুপ্রিম রায়ের বিরোধিতা, নয়া পদক্ষেপে মোদি সরকার!

আইনজীবী কপিল সিব্বলের দাবি, এতে বিজেপির মুখোশ খুলে যাবে। কারণ, কেউ বিনা কারণে বিজেপিকে কোটি কোটি টাকা দেয়নি।

দেশের শীর্ষ আদালতে (Supreme Court) জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) ‘অসাংবিধানিক’। এখানেই শেষ নয় কোন রাজনৈতিক দল গত পাঁচ বছরে কোন শিল্প সংস্থার থেকে কত টাকা চাঁদা পেয়েছে, তা মার্চ মাসেই প্রকাশ্যে আসতে চলেছে। তাই ভয় পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। এই বন্ড চালু হবার পর সব থেকে বেশি সুযোগ-সুবিধে এবং অর্থ নিজেদের পকেটে পুড়েছে গেরুয়া শিবির। তাই এবার মুখোশ খুলে যাওয়ার ভয় পাচ্ছেন মোদি! বিরোধীরা মনে করছেন এবার অধ্যাদেশ জারি করে সুপ্রিম কোর্টের (SC) এই রায় উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে বিজেপি (BJP)।

নির্বাচনী বন্ড চালু করার পরে বিজেপি কর্পোরেট সংস্থাগুলিকে নানা সুবিধা পাইয়ে দিয়ে গোপনে মোটা টাকা চাঁদা আদায় করছে বলে বিরোধীরা সরব হয়েছে। ২০১৭ সালের বাজেটে নির্বাচনী বন্ডের ঘোষণা হয়েছিল। ২০১৮-র জানুয়ারি মাসে নির্বাচনী বন্ড চালুর বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। পরিসংখ্যান বলছে ২০১৭-১৮ থেকে ২০২২-২৩-এর মধ্যে মোট ১২,০০৮ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়েছে। এর প্রায় ৫৫ শতাংশ অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৬,৫৬৪ কোটি টাকা বিজেপির কোষাগারে ঢুকেছে। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই সুপ্রিম কোর্টের রায় বিপাকে ফেলেছে মোদি- শাহদের। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে আগামী মাসের মধ্যেই কোন পার্টি কত চাঁদা দিয়েছে বিজেপিকে সেই তথ্য সামনে আনতে হবে। বন্ডের বিরুদ্ধে মামলার অন্যতম আইনজীবী কপিল সিব্বলের দাবি, এতে বিজেপির মুখোশ খুলে যাবে। কারণ, কেউ বিনা কারণে বিজেপিকে কোটি কোটি টাকা দেয়নি। ঠিক সেই কারণেই এবার সুপ্রিম কোর্টের রায় উল্টে দেওয়ার চেষ্টা করবে মোদি সরকার এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিরোধীরা।


Previous articleনারী-সুরা-বিলাস! BJP সাংসদ সৌমিত্রের দ্বিতীয় বিয়ের খবরে বিস্ফোরক অভিযোগ প্রথম স্ত্রী সুজাতার
Next articleদ্রাবিড়-জয় শাহ’দের কথা শুনলেন না ঈশান, খেললেন না রঞ্জি ম্যাচ