উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার কারণে পিছল সভা! রবিবারই সন্দেশখালিতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল

সময় যত গড়াচ্ছে বিরোধীদের একের পর এক গাজোয়ারির কারণে বারবার অশান্ত হয়ে উঠছে সন্দেশখালি। পুলিশ কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার পাশাপাশি ইতিমধ্যে ঘটনায় দোষীদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে।

রাজ্যে চলছে উচ্চ মাধ্যমিক (Higher Secondary) পরীক্ষা। আর সেকারণেই পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখেই রবিবার সন্দেশখালিতে (Sandeskhali) সভা বাতিলের সিদ্ধান্ত তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC)। তবে রবিবার তৃণমূলের সভার পরিবর্তে সন্দেশখালি যাচ্ছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক (Partha Bhowmik) এবং সুজিত বসু (Sujit Bose)। সঙ্গে থাকবেন হাড়োয়ার তৃণমূল বিধায়ক তথা বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি হাজি শেখ নুরুল ইসলামও। আগামীকালই সন্দেশখালির স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা। সূত্রের খবর, রবিবারের পরিবর্তে ৩ মার্চ সভা করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। সেদিনের সভায় উপস্থিত থাকবেন পার্থ ভৌমিক, ব্রাত্য বসু, তাপস রায়, নির্মল ঘোষ, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ দলের একাধিক উচ্চপদস্থ নেতাকর্মীরা।

সময় যত গড়াচ্ছে বিরোধীদের একের পর এক গাজোয়ারির কারণে বারবার অশান্ত হয়ে উঠছে সন্দেশখালি। পুলিশ কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার পাশাপাশি ইতিমধ্যে ঘটনায় দোষীদেরও গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালিতে সভা হওয়ার কথা থাকলেও শনিবারই সভার দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। দলের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বর্তমানে রাজ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। সেকারণেই পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ, সভার জন্য মাইক বাজানো হলে এলাকার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বিঘ্ন হতে পারে। তাই দলের তরফে সাফ জানানো হয়েছে আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর ৩ মার্চ সন্দেশখালিতে ওই সভা করবে তৃণমূল।

তবে সভা আপাতত বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও রবিবারই রাজ্যের সেচ এবং শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু যাচ্ছেন সন্দেশখালিতে। সঙ্গে থাকার কথা রয়েছে শেখ নুরুল ইসলামেরও। তাঁরা সেখানে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে ঘরোয়া বৈঠকের পাশাপাশি স্থানীয়দের অভাব, অভিযোগের কথা শুনবেন। কথা বলবেন বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও। দুপুর ১২ টায় ন্যাজাট পৌঁছবেন তাঁরা। তারপর একটি কর্মী সভা করার কথা রয়েছে তৃণমূলের। সন্দেশখালির ঘটনা প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ অভিযোগ, সন্দেশখালিতে উত্তেজনার জন্য দায়ী গেরুয়া বাহিনী। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, ১৭ জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। যারা মুখে মাস্ক পরে ছবি তুলছে, সবাই ধরা পড়েছে। একটা এলাকাকে অশান্ত করার লাগাতার চেষ্টা করা হয়েছে। এছাড়াও সন্দেশখালিতে ‘আরএসএসের বাসা’ রয়েছে বলেও অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর।

 

Previous articleতামিলনাড়ুর বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ, মৃত অন্তত ১০
Next articleসন্দেশখালিতে মানুষের ক্ষতির বিনিময়ে সস্তার রাজনীতি করা হচ্ছে, বিজেপিকে তোপ কুণালের