প্রধানমন্ত্রী আর কতদিন চুপ থাকবেন, চোপড়ায় প্রশ্ন ক্ষুব্ধ চন্দ্রিমার

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সোমবার চেতনাগছ গ্রামে গিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য

বিএসএফের পক্ষে এখনও পর্যন্ত কোনও সহায়তা পায়নি চোপড়ায় মৃত শিশুদের পরিবার। চারটি নিষ্পাপ শিশুর প্রাণ চলে গেল। এতবড় ঘটনা ঘটে গেল, কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কোনও হেলদোল নেই।প্রধানমন্ত্রী আর কতদিন চুপ করে থাকবেন। কোনও অনুমতি ছাড়াই নিকাশি নালা কাটছিল বিএসএফ। এই কাজের জন্য স্থানীয়দের আগাম সতর্ক করার প্রয়োজনটুকুও দেখায়নি। এতটাই দায়িত্বজ্ঞানহীন যে চারটি শিশু খেলতে গিয়ে নালায় পড়ে গেল, অথচ না দেখেই জেসিবি দিয়ে মাটি চাপা দিয়ে দিল। অকালে চারটি শিশুর প্রাণ গেল, কিন্তু একবারও বিএসএফের কেউ পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করার প্রয়োজন মনে করেননি। বিএসএফ শুধুই সীমানার আইন দেখাতে চায়, সাধারণ মানুষের জন্য কিছুই করে না। মনে রাখবেন এটা রাজ্যের সীমানা। আমরা কেন্দ্রের অফিসারদের ডেকে জবাব চাইব। কার অনুমতি নিয়ে এই নিকাশিনালা কাটা হচ্ছিল। কেন্দ্র সরকারও এই নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সোমবার চেতনাগছ গ্রামে গিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

এদিন রাজ্যের মন্ত্রী সন্তানহারা পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাদের সমবেদনা জানান।এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী গোলাম রব্বানী, বিধায়ক হামিদুল রহমান, জেলা মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী চৈতালি ঘোষ সাহা প্রমুখ। মন্ত্রীকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে মৃত শিশুর পরিজনেরা। তার কাছে পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয় যে এখানে নিকাশিনালা কাটার কোনও কথাই তাদের জানা ছিল না। জানা থাকলে তারা শিশুদের তার ধারে কাছে যেতে দিতেন না। মন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যপাল এসে কথা বলুন মৃত শিশুদের মায়েদের সঙ্গে, কথা বলুন সাধারণ মানুষের কাছে। রিপোর্ট দিন কেন্দ্রকে।

উল্লেখ্য, গত সোমবার চেতনাগছ গ্রামে সীমানায় বিএসএফের নিকাশিনালা খননকার্য চলাকালীন মাটি চাপা পড়ে বেঘোরে প্রাণ যায় চার শিশুর। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে বিএসএফের বিরুদ্ধে লাগাতার শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিএসএফের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ এনে বিএসএফের শাস্তির দাবিতে রাজ্য বিধানসভায় সরব হন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।চোপড়ায় বিএসএফের শাস্তির দাবিতে অবস্থানে বসেছিলেন এলাকার বিধায়ক,রাজ্যের মন্ত্রী থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা শীর্ষ নেতৃত্ব। দুর্ঘটনার পরে চোপড়ায় আসেন রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের প্রতিনিধি দল। তারা বিএসএফ আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠকও করেন। তারাও বিএসএফের ঔদ্ধত্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। পাশাপাশি এই ঘটনায় ইতিমধ্যে কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরই পাশাপাশি এই ঘটনায় তৃণমূল নেতৃত্ব ১২ জনের প্রতিনিধিদল তৈরি করে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাত্‍ করে। রাজ্যপালকে চোপড়া পরিদর্শনের অনুরোধ জানান তারা। সেই মতো মঙ্গলবার চোপড়ায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে রাজ্যপালের আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

Previous articleরেজিস্ট্রির পরে প্রকাশ্যে বিয়ের কার্ড, কবে কোথায় কাঞ্চন-শ্রীময়ীর প্রীতিভোজ?
Next articleআচমকা ‘বেছে বেছে’ আধার কার্ড বাতিল! প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর