সুমন করাতি: অনেক বাধা কাটিয়ে যখন ভীষণ অভিপ্রেত কিছু পাওয়া যায় তখন তার আনন্দই আলাদা হয়। তারই একটা ঝলক দেখা গিয়েছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। একেবারে প্রেমদিবসকে সাক্ষী রেখে নতুন জীবনে পথ চলা শুরু করেছিলেন কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। সেদিন একটা ঝলক দেখা গিয়েছিল নতুন জীবন শুরু করার সাজ কেমন হতে পারে। ছোট্ট, পারিবারিক, অথচ জৌলুসে ভরা। আর তাঁদের বিয়ের আয়োজন যে তাক লাগানো হবেই, তা বলাই বাহুল্য। বিয়ের নিমন্ত্রণপত্রেই পাওয়া গেল তার খানিকটা ঝলক।
রাজকীয় বলতে ভারতীয় সংস্কৃতিতে রাজপুতদের ঘরানা যেন দেশের সিগনেচার মার্ক। আজও রাজপুত রাজপ্রাসাদ বা দুর্গ ডেস্টিনেশন ওয়েডিংয়ের সবথেকে প্রিয় পছন্দ। তেমনই এক এক রাজ দরবারে অতিথিদের স্বাগত জানাচ্ছেন পাত্র-পাত্রী। প্রাসাদ ভরা নর-নারীর উচ্ছ্বাস আর মঙ্গলধ্বনির মধ্যে মালাবদল তাঁদের। এরপর রাজপুত ঘরানায় শোভাযাত্রা করে হাতির পিঠে বিদায় নব বিবাহিতা দম্পতির। এভাবেই সাজানো হয়েছে তাঁদের বিয়ের আমন্ত্রণপত্র।
শহরের নামী ব্যাঙ্কোয়েতে ৬ মার্চ নিজেদের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য অতিথিদের এভাবেই আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। বিবাহ বিচ্ছেদের দীর্ঘ লড়াই মেটার পর মানসিক স্বস্তিতে নতুন জীবনে শুরুর উত্তেজনা যে বিধায়ক অভিনেতা কাঞ্চনের কতটা তা বিয়ের আয়োজন থেকেই অনেকটা বোঝা সম্ভব। অভিনেত্রী শ্রীময়ীর হাত ধরতে কোনও আয়োজনের ত্রুটি রাখতে চান না তিনি, তা বিয়ের জমকালো আমন্ত্রণ পত্রে অনেকটাই প্রমাণ মিলেছে। রেজিস্ট্রি বিয়ে সম্পন্ন হতেই বিয়ের কার্ড পৌঁছে গিয়েছে অভিনেতার ঘরে। এবার শুরু বিতরণে পালা।