আধার বাতিলে ভোলবদল সুকান্তর; নজর ঘোরাতে সন্দেশখালি ইস্যু, কটাক্ষ কুণালের

'আধারের লিঙ্ক কাটা হয়েছে বলে তৃণমূল প্রতিবাদ করেছে। ধর্মের রাজনীতি, সিএএ-এনআরসি, আধার লিঙ্ক কেটে দেওয়া - এই চক্রান্তগুলো থেকে নজর ঘোরানোর জন্য সন্দেশখালি নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ নাটক, কুৎসা এই ধরনের কাজ করে যাচ্ছে বিজেপি ও বিরোধীরা', দাবি কুণাল ঘোষের।

বেশ কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আধার বাতিলের হিড়িক পড়ে গেলেও কোথাও দেখা মেলেনি রাজ্যের বিজেপির নেতাদের। রবিবার মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক সভা থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা ও সরকারের নতুন পোর্টাল খুলে বাতিলের তালিকায় নাম ওঠা বাসিন্দাদের নাম নথিভুক্ত করার নির্দেশ দিতেই আসরে নামল বিজেপি। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রকাশ্যে বলেই দিলেন সোমবারের মধ্যেই আবার আধার লিঙ্ক হয়ে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীর সক্রিয়তার পরই রাজ্যের মানুষের আধার ফিরে পাওয়া গোটাটাই যে কেন্দ্র সরকারের চক্রান্ত, তা নিয়ে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি তৃণমূল। এমনকি এই চক্রান্ত থেকে নজর ঘোরাতেই সন্দেশখালি ইস্যু তোলার অভিযোগ করেন কুণাল ঘোষ।

রবিবার সভা থেকে নতুন পোর্টালে আধার বাতিল হওয়া বাসিন্দাদের নাম তোলা ছাড়াও গোটা বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নিতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে শুরু হয়ে যায় পরিষেবা দিতে সাধারণ মানুষের পাশে কিভাবে রাজ্য সরকার দাঁড়াতে পারে তার পরিকল্পনা নেওয়া। যার ফলে সাধারণ মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত যাতে না হন, দ্রুত তার ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত হয় প্রশাসন।

এরপরই বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন কেন্দ্রের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে আধার বাতিলের বিষয়ে। সোমবার রাত থেকেই বাতিল হওয়া আধার কার্ড আবার লিঙ্ক হয়ে যাবে, এমন দাবিও করেন তিনি। পাশাপাশি কোনও পোর্টালে নাম না তুলতে সরাসরি সতর্ক করেন রাজ্যের মানুষকে। কেন্দ্রের মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে যে সমস্যা একবারেই সমাধান করে ফেলেন রাজ্যের বিজেপি সভাপতি তিনি এতদিন ধরে সাধারণ মানুষের হতাশা দেখে কেন চুপ করে ছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ভুক্তভোগীরা। ‘যারা বলে আমরা কথা বলে ছাড়াচ্ছি, তার মানে তো তাঁরা জানে কারা করিয়েছে। এখন তৃণমূলের আপত্তিতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া অবস্থানে ভয় পেয়ে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বললেন রাজ্য সরকার সেই মানুষগুলোর পাশে থাকবেন, তৃণমূল গর্জে উঠল, তখন পিছু হঠতে বাধ্য হল বিজেপি’, দাবি কুণাল ঘোষের।

তবে আধারের গোটা বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রান করার যে চক্রান্ত বিজেপি করেছে তাকে ঢাকা দেওয়ার জন্যই সন্দেশখালি ইস্যু তুলেছে বিজেপি, এমনটাও দাবি করেছে তৃণমূল। ‘আধারের লিঙ্ক কাটা হয়েছে বলে তৃণমূল প্রতিবাদ করেছে। ধর্মের রাজনীতি, সিএএ-এনআরসি, আধার লিঙ্ক কেটে দেওয়া – এই চক্রান্তগুলো থেকে নজর ঘোরানোর জন্য সন্দেশখালি নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ নাটক, কুৎসা এই ধরনের কাজ করে যাচ্ছে বিজেপি ও বিরোধীরা’, দাবি কুণাল ঘোষের।