Monday, December 15, 2025

‘মোদি হ্যায় তো নামুমকিন হ্যায়’, বার্তা শরদ পাওয়ারের

Date:

Share post:

“মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান মারাঠা রাজ্যে এসে মুখ থুবড়ে পড়বে। আমরা দেখাব ‘মোদি হ্যায় তো নামমুমকিন হ্যায়।” বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন এনসিপি (শারদ পাওয়ার) নেতা শারদ পাওয়ার। তিনি বলেন, “ইন্ডিয়া ব্লক এবং মহা বিকাশ আঘাদি (এমভিএ)বিজেপির প্রচার-মন্ত্রকে ব্যর্থ করে দেবে।”

মহারাষ্ট্রে বিজেপির রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চরম আকার নিয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে বিরোধীদের অভিযোগ, বিভিন্ন রাজ্যে দল ভাঙানোর খেলায় নেমেছে বিজেপি। কোথাও কোথাও দল অথবা জোট ভাঙিয়ে নিজেদের সরকার গঠন করতেও পিছপা হচ্ছে না গেরুয়া শিবির। মোদি-শাহ জুটির আগ্রাসী রাজনীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বিরোধীরা একজোট হওয়ায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা ভয় পেয়েছে বিজেপি। আর সেকথাই বৃহস্পতিবার প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দিলেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নেতা শরদ পাওয়ার। তাঁর দাবি, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে জিততে পারবে না বিজেপি। ওদের ভিতরে সেই আত্মবিশ্বাস নেই। তাই ওরা ভয় পেয়ে বিভিন্ন রাজ্যে দল ভাঙানোর খেলায় নেমেছে। জোট ভাঙিয়ে সরকার দখল করছে। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, এবারে আর মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায় স্লোগানকে সত্য করা মুশকিল। দেশের বিভিন্ন ঘটনাবলিতেই মানুষ মোদির মুখকে আর মেনে নিতে পারছেন না। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ রাজনীতিক পাওয়ার বুঝিয়ে দেন মোদি এবং তাঁর দলও সেটা টের পাচ্ছে দেশবাসীর আচরণে। পাওয়ার বলেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে জেতার ব্যাপারে ওরা পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী নয়। বিরোধীদের ঐক্য দেখে ওদের বিশ্বাসে চিড় ধরছে। তাই ওরা পূর্ণ শক্তিতে বিভিন্ন দলকে ভাঙার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

শরদ পাওয়ারের দাবি, কিছু সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে লোকসভা ভোটে ওরা যত আসনের স্বপ্ন দেখছে, তত আসন পাবে না ওরা। মহারাষ্ট্রের এক সমীক্ষা বলছে এখানে বিজেপি ৫০ শতাংশ আসনেও জিততে পারবে না। অতীতের দৃষ্টান্ত তুলে ধরে পাওয়ার বলেন, ১৯৮০ সালে আমার দলের ৬৯ জন বিধায়ক জিতেছিলেন। আমি একটি বিদেশ সফর থেকে ফেরার পরই ৬ জন বাদে সকলেই তাঁকে ত্যাগ করেন। পাঁচ বছর পর দেখা গেল, যাঁরা আমাকে ত্যাগ করেছিলেন, তাঁদের ৯৫ শতাংশই ভোটে গোহারা হলেন। লোকসভা ভোটেও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে বলেই পাওয়ারের বিশ্বাস। এছাড়াও চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, দেখলেন তো ক্ষমতা দখলের জন্য শাসকদল যে কোনও স্তরে নেমে যাচ্ছে। বিরোধীদের কোণঠাসা করার চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছে। আসলে ওরা অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে, হারার ভয় পাচ্ছে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী বলেন, “আজকে দেশে কৃষকরা কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছে। সে কঠোর পরিশ্রম করে কিন্তু তা সত্ত্বেও সে তার পণ্যের জন্য উপযুক্ত মূল্য পায় না। যদি ইনপুট খরচ বেশি হয় এবং আউটপুট কম হয়, তাহলে কৃষকরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং এর কারণে কঠিন পরিস্থিতিতে কৃষকদের চরম পদক্ষেপ, এমন দৃশ্য বর্তমানে দেশে বিরাজ করছে।”

spot_img

Related articles

রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা! কেন্দ্রের অপচেষ্টার বিরুদ্ধে লোকসভায় সোচ্চার তৃণমূল

পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে বাগে আনতে না পেরে এবার দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো লঙ্ঘন করে...

মতুয়াদের সঙ্গে প্রতারণা! রাজ্যসভায় বিজেপির পর্দাফাঁস সাংসদ মমতাবালা ঠাকুরের

পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী লক্ষ লক্ষ মতুয়াকে ভুল বুঝিয়ে তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করছে মোদি সরকার ও বিজেপি—এমনই অভিযোগ তুলে সোমবার...

রেকর্ড ভিড়ের আশঙ্কায় গঙ্গাসাগরে রিস্ট ব্যান্ড! ভিআইপি সংস্কৃতিতে না মুখ্যমন্ত্রীর

এবার কুম্ভ মেলা না হওয়ায় গঙ্গাসাগর মেলায় রেকর্ড সংখ্যক পুণ্যার্থীর সমাগম হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজ্য প্রশাসন।...

জলসীমায় ঢুকে হামলার অভিযোগ বাংলাদেশী নৌ বাহিনীর বিরুদ্ধে, নিখোঁজ ৫ মৎস্যজীবী

ভারতের জলসীমায় ঢুকে ভারতীয় ট্রলারে ধাক্কার অভিযোগ বাংলাদেশী নৌ বাহিনীর (Bangladeshi Navy Allegation)। ঘটনায় কাকদ্বীপের এফবি পারমিতা -১১...