বেড়মজুরে বিজেপির উস্কানিতে অশান্তি, গ্রেফতার লকেট চট্টোপাধ্যায়

এলাকায় পৌঁছান বিজেপি মহিলা মোর্চা ফাল্গুনি পাত্র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। ভোজেরহাটের আগে সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী সহ তাঁদের আটকানো হলেও প্রশ্ন ওঠে কীভাবে ফাল্গুনীরা বেড়মজুর পৌঁছে গেলেন। তাঁদের দাবি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে লুকিয়ে তাঁরা গ্রামে ঢোকেন।

বৃহস্পতিবারের ফের শুক্রবারও সকাল থেকে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ালো সন্দেশখালির বেড়মজুর গ্রামে। রাজ্য পুলিশের ডিজি, এডিজির কনফেডেন্স বিল্ডিংয়ের পরেও বারবার জটলা করে বিক্ষোভে নামে গ্রামবাসীরা। এরই মধ্যে দেখা যায় বিজেপি মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিদল ‘লুকিয়ে’ গ্রামে ঢোকে। যদিও ভোজেরহাটের কাছে তাঁকে গ্রেফতার করে লালবাজার নিয়ে যায় পুলিশ। তবে দুপুরের পরে অশান্তি ছড়ানো, আগুন লাগানোর অভিযোগে গ্রাম থেকে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হলে গ্রামবাসীদের নিয়েই পুলিশের গাড়ি আটকানো, বিক্ষোভ দেখানোয় সামিল হয় বিজেপি মহিলা মোর্চার প্রতিনিধিদল।

শুক্রবার সকালেই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার বেড়মজুর গ্রামে গিয়ে হুঁশিয়ারি দেন অন্যায় হলে পুলিশ দেখবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না। কৃত্রিম আগুন লাগানোর চেষ্টা যারা করেছে তাদের সমর্থন না করার অনুরোধ জানান। বেড়মজুরে বৃহস্পতিবার আগুন লাগানোর ঘটনায় রাত থেকে জারি হয় ১৪৪ ধারা। তবে পরিস্থিতি বদলে যায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ভেড়ি এলাকায় চালাঘরে আগুন লাগানো ও তৃণমূলনেতা অজিত মাইতির বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগে পুলিশ আটক শুরু করতেই। গ্রামবাসীদের দাবি, নির্দোষ ব্যক্তিদের শুধুমাত্র অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এরই মধ্যে এলাকায় পৌঁছান বিজেপি মহিলা মোর্চা ফাল্গুনি পাত্র নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। ভোজেরহাটের আগে সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী সহ তাঁদের আটকানো হলেও প্রশ্ন ওঠে কীভাবে ফাল্গুনীরা বেড়মজুর পৌঁছে গেলেন। তাঁদের দাবি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে লুকিয়ে তাঁরা গ্রামে ঢোকেন। গ্রাম থেকে আটক যুবকদের নিয়ে যেতে গেলে গ্রামের মহিলাদের নিয়ে গাড়ির সামনে বসে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। পুলিশের গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করা হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছান বারাসাত ডিআইজি ভাষ্কর মুখোপাধ্যায়। আশ্বাস দেন গ্রাম থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হলেও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। যদিও বিজেপি নেত্রীরা গ্রামের মহিলাদের ধরে ধরে মিডিয়ার সামনে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য় নিয়ে আসতে থাকলে পরিস্থিতি আবারও উত্তজিত হয়ে ওঠে।

তবে এরপরেও গ্রামের একেক এলাকায় ঘুরতে থাকেন ফাল্গুনি পাত্র ও তাঁর অনুগামীরা। সেই সব জায়গায় রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে গ্রামবাসীরা। যে এলাকা থেকে কোনও গ্রেফতারি হয়নি সেখানেও মানুষ জমি ফেরতের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। জমি ফেরতের জন্য সরকারিভাবে আলাদা আবেদন জানানোর বার্তা পুলিশের তরফ থেকে বারবার জানানো হলেও ১৪৪ ধারা অমান্য করে দিনভর অশান্তি জারি থাকে বেড়মজুরে।

 

Previous articleমুকেশ পুত্রের প্রাক বিবাহের অনুষ্ঠানে একগুচ্ছ নির্দেশিকা! অতিথিদের মানতেই হবে এই নিয়মগুলি
Next articleচাকরির নামে প্রতারিত, রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে ভারতীয়রা, স্বীকার করল কেন্দ্র