Thursday, August 28, 2025

উস্কানি সন্দেশখালিতে, ‘গো ব্যাক’ পোস্টারে ফাঁস বহিরাগত চক্রান্ত

Date:

রাজ্য সরকার থেকে স্থানীয় প্রশাসন, বারবার সন্দেশখালির স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ শুনে পদক্ষেপ নেওয়ার ছবিই দেখা গিয়েছে। মানুষের অভিযোগ নথিবদ্ধ করে শুরু হয়েছে অসন্তোষ মেটানোও। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের দুই মন্ত্রী সন্দেশখালি গেলে তৃতীয় দিনে হঠাৎ মহিলাদের হাতে ‘গো ব্যাক’ (Go Back) লেখা পোস্টার দেখা যায়। তবে আশ্চর্যজনকভাবে দোষীদের শাস্তির দাবি ছাড়া আর কোনও দাবি তাঁদের মুখে শোনা যায়নি। তৃণমূলের অভিযোগ একই হাতের লেখায়, একই ভঙ্গিতে লেখা ওইসব পোস্টার বাইরে থেকে জোর করে গ্রামের মহিলাদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জমি ও প্রাপ্য টাকা না দেওয়ার সন্দেশখালির স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভ শুরু হতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামে প্রশাসন। একদিকে ক্যাম্প খুলে অভিযোগ জমা নেওয়া শুরু হয়। অন্যদিকে সাধারণ মানুষকে আইন হাতে না তুলে নেওয়ার অনুরোধ করতে থাকে পুলিশ। পুলিশের নিরাপত্তার আশ্বাসে গ্রামের মানুষও বারবার জানান তাঁরা প্রশাসনের ওপর ভরসা রাখছেন। অন্যদিকে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, সুজিত বসু, বীরবাহা হাঁসদা প্রথম দিন যখন সেখানে যান সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অভিযোগ জানান তাঁদের। শনিবার মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও সুজিত বসুর কাছে গ্রামের পুরুষ ও মহিলারা অভিযোগ জানান।

এরপরই রবিবার দুই মন্ত্রী সন্দেশখালি পৌঁছালে দেখা যায়, বিক্ষোভে নামা মহিলাদের হাতে গো ব্যাক সুজিত বসু – লেখা পোস্টার। পুলিশ এসে তাঁদের ১৪৪ ধারা মেনে ফিরে যেতে বললে তাঁরা বারবার শেখ সিরাজের গ্রেফতারির দাবি জানান। কিন্তু মন্ত্রীদের ফিরে যেতে বলতে শোনা যায়নি কাউকে। এরপরই এই বিক্ষোভ প্রদর্শনকে সংগঠিত দলের কাজ বলে দাবি তৃণমূলের। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, ‘মা বোনেরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, সরকারের মন্ত্রীরা সেটা শুনতে যাচ্ছেন। তখন যখন দেখা যায় যে সেই মন্ত্রীর নামে ‘গো ব্যাক’ পোস্টার তাহলে তাঁরা চাইছেন কী? একই ধরনের পোস্টার? তার মানে পিছন থেকে কোনও অর্গানাইজড ফোর্স (organised force) যারা মদত দিচ্ছে নানা ভাবে তারা সাজিয়ে দিচ্ছে। মন্ত্রী যেন না যায়, সুরাহা যেন না হয়।’

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version