সন্দেশখালিতে অশান্তি তৈরির আশঙ্কা, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে গ্রেফতার পুলিশের

সন্দেশখালি (Sandeshkhali ) যখন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে, বেড়মজুর (Bermajur) এলাকায় যখন দোকানপাট খুলতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিরোধীরা বারবার ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেখানকার মানুষকে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ। আজ ফের এক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম  সন্দেশখালির দিকে রওনা দেয়। ১৪৪ ধারার কথা জানা সত্ত্বেও বারবার পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। এরপরই তাঁদের গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় পুলিশ।

বিজেপি শাসিত রাজ্যে যখন নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে তখন কেন্দ্রের সরকার হাত গুটিয়ে বসে থাকে। শুধু তাই নয় মনিপুরের ঘটনাতেও নীরব থাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দফতর। কিন্তু বাংলায় যখন রাজ্য সরকার এবং প্রশাসনের উপর আস্থা রেখেছেন সন্দেশখালির মানুষ, ঠিক তখনই ভোট রাজনীতি করতে কখনও ST কমিশন, SC কমিশন, কখনও কেন্দ্রের মানবাধিকার কমিশন (NHRC) কখনও আবার জাতীয় শিশু সুরক্ষা কমিশনের নামে বারবার প্রতিনিধি দল পাঠিয়ে উস্কানি দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। রবিবার সকালে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের প্রতিনিধিরা গিয়ে পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করেন। পাটনা হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি নরসিমা রেড্ডি সহ মোট ছয়জনের সেই টিমে রয়েছেন বলে জানা যায়। সূত্রের খবর ভোজেরহাটেই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমকে ডিসি সৈকত ঘোষ (Saikat Ghosh) জানান এই মুহূর্তে সন্দেশখালির যা পরিস্থিতি তাতে সেখানে এখন যাওয়া সম্ভব নয়। আইন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে। কিন্তু পুলিশের এই যুক্তি মানতে চাইনি কেন্দ্রের প্রতিনিধি দল। উল্টে পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। যদিও প্রশাসন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে। শেষ খবর অনুযায়ী অ্যারেস্ট মেমোতে সই করিয়ে FFT-এর সদস্যদের গ্রেফতার করতে বাধ্য হয় পুলিশ।


Previous articleবাইপাসের ধারে ঝুপড়িতে বিধ্বংসী আগুন, একাধিক ঘর পুড়ে ছাই 
Next articleচালক ছাড়া ১০০কিমি বেগে ছুটল মালগাড়ি! আতঙ্ক পাঞ্জাবে