জ্ঞানবাপী মসজিদে চলবে পুজো! নিম্ন আদালতের রায় বহাল এলাহবাদ হাই কোর্টের

সম্প্রতি জ্ঞানবাপী মসজিদের সিল করা বেসমেন্টের একটি তেহখানায় হিন্দু ভক্তদের পুজো করার অনুমতি দিয়েছিল বারাণসীর জেলা আদালত। আর তারপর মধ্যরাতেই শুরু হয় পুজো।

0
1

বারাণসী জেলা আদালতের রায়ই বহাল রাখল এলাহবাদ হাই কোর্ট (Allahabad High Court)। সোমবার সকালে হাই কোর্ট একেবারে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi Mosque) তেহখানায় পুজো, আরতি চালিয়ে যেতে পারবেন হিন্দুরা (Hindu)। আর হাই কোর্টের এমন নির্দেশের পরেই বড়সড় চাপে মুসলিম পক্ষ (Muslims)। এদিন তাঁদের আর্জি খারিজ করে হাই কোর্ট জানিয়ে দেয় যেমন সবকিছু চলছিল, তেমনই চলবে। এর আগে বারাণসী জেলা আদালত জ্ঞানবাপীর তেহখানায় হিন্দুদের (Hindu) পুজো (Puja) এবং আরতি করার অনুমতি দিয়েছিল। আর সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই এলাহবাদ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় মুসলিম পক্ষ।

তবে এর আগেও পূজার্চনায় স্থগিতাদেশ চেয়ে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মুসলিম পক্ষ। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত। সম্প্রতি জ্ঞানবাপী মসজিদের সিল করা বেসমেন্টের একটি তেহখানায় হিন্দু ভক্তদের পুজো করার অনুমতি দিয়েছিল বারাণসীর জেলা আদালত। আর তারপর মধ্যরাতেই শুরু হয় পুজো। এরপরই গত ১ ফেব্রুয়ারি এলাহাবাদ হাই কোর্টে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে ‘অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটি। অবিলম্বে পুজো বন্ধের আবেদন জানান তাঁরা। তবে সোমবার বিচারপতি রোহিতরঞ্জন আগরওয়ালের একক বেঞ্চ জ্ঞানবাপী মসজিদ চত্বরের দক্ষিণ দিকে ‘ব্যাসজি কা তেহখানা’য় হিন্দুদের পুজো, আরতি চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল।

এদিকে মসজিদ কমিটির তরফে হাই কোর্টে এদিন দাবি জানানো হয়, ১৯৯৩ সালের আগে জ্ঞানবাপী চত্বরের কোথাও পূজার্চনা বা আরতির কোনও প্রমাণ হিন্দুপক্ষ দিতে পারেনি। এরপরই হাই কোর্ট জানায় ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ বা এএসআই তার বিস্তারিত রিপোর্টে জানিয়েছিল, জ্ঞানবাপী মসজিদের আগে সেখানে একটি হিন্দু মন্দির ছিল। দক্ষিণের ওই অংশে বেশ কয়েকটি হিন্দু দেবদেবীর বিগ্রহ থাকার প্রমাণ রয়েছে। আর সমস্ত প্রমাণ খতিয়ে দেখেই তবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।