মানহানি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চাইলেন কেজরিওয়াল

সুপ্রিম কোর্টে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে নিলেন। একটি মানহানির মামলা থেকে আপাতত রক্ষা পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। আপ প্রধানের বিরুদ্ধে একটি ‘মানহানিকর’ ভিডিয়ো রিট্যুইট করার অভিযোগ উঠেছিল। জানা গিয়েছে, ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন ইউটিউবার ধ্রুব রাঠী। সেটিই নিজের টুইটার হ্যান্ডল ২০১৮ সালে ফের পোস্ট করেন কেজরিওয়াল। ধ্রুব রাঠীর পোস্ট করা ভিডিয়োয় ‘আই সাপোর্ট নরেন্দ্র মোদি’ নামের একটি টুইটার হ্যান্ডল ‘বিজেপি আইটি সেল পার্ট-২’-এর মতো কাজ করছে বলে দাবি করা হয়। আরও দাবি করা হয় যে, ওই হ্যান্ডল থেকে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। সেই ভিডিয়োটি রিট্যুইট করেন কেজরিওয়াল। এরপরেই আদালতে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন বিকাশ সাংকৃত্যায়ন নামে এক ব্যক্তি। নিম্ন আদালত আপ প্রধানের বিরুদ্ধে সমন জারি করার নির্দেশ দেয়। কেজরিওয়াল এই নির্দেশের বিরুদ্ধে দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সমন খারিজ করতে রাজি হয়নি উচ্চ আদালত। তার পরই সুপ্রিম কোর্টে যান কেজরিওয়াল।

সুপ্রিম কোর্টে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি বলেন, আমার স্বীকার করতে কোনও অসুবিধা নেই যে, রিট্যুইট করে ভুল করেছিলাম। তার পরই অভিযোগকারীর কাছে শীর্ষ আদালত জানতে চায়, তিনি এই মামলাটি বন্ধ করতে চান কি না। অভিযোগকারী সম্মতি দেন। তার পর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ জানায়, নিম্ন আদালত ১১ মার্চ অবধি কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না। ওই দিনই এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

 

Previous article‘বেশ কিছু’ ভারতীয়কে সেনা থেকে মুক্তি রাশিয়ার, দাবি বিদেশ মন্ত্রকের
Next articleবিজেপির ‘খালিস্তানি’ মন্তব্যে মুখ্যসচিবকে স্মারকলিরি শিখ প্রতিনিধি দলের