কুড়মিদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখেননি প্রধানমন্ত্রী, লোকসভায় জঙ্গলমহলে বিপর্যয়ের মুখে বিজেপি

২০১৯ শেষ লোকসভা ভোটে জঙ্গলমহলের ৫টি আসনের দখল নিয়েছিল বিজেপি। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর, মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের মানুষ আশীর্বাদ করেছিলেন বিজেপি প্রার্থীদের। সেবার গেরুয়া শিবিরের এই সাফল্যের পিছনে জঙ্গলমহলের কুড়মি জনজাতির একটি বড় সমর্থন ছিল। বিজেপির তরফে কুড়মি সমাজকে প্রতিশ্রুতি
দেওয়া হয়েছিল তাঁদের বিভিন্ন দাবি পূরণে পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্রের সরকার। কিন্তু কথা রাখেনি বিজেপি। পূরণ হয়নি কোনও প্রতিশ্রুতি। বরং, এই পাঁচ বছরে বিজেপির বিভাজন নীতির জেরে জঙ্গলমহলে আদিবাসীদের মধ্যেই মাহাতোদের সঙ্গে কুড়মিদের বিবাদ চূড়ান্ত আকার নিয়েছিল। রাজ্য সরকার ব্যবস্থা না নিলে তা জাতিদাঙ্গার রূপ নিতে পারতো।

বিজেপির জুমলা ও ভাঁওতাবাজি প্রকাশ্যে চলে আসায় আসন্ন লোকসভা ভোটে বিজেপির দিক থেকে মুখ সরাচ্ছে কুড়মিরা। ফলে জঙ্গলমহলের ওই পাঁচ আসন ধরে রাখা নিয়ে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে গেরুয়া শিবির। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে আশঙ্কায় ভুগছে বঙ্গ বিজেপির নেতারা।

জঙ্গলমহলের কুড়মি সমাজের ভোট কোথাও ২০ শতাংশ তো কোথাও ৪০ শতাংশ। উনিশের ভোটের প্রচারের সময় ঝাড়গ্রামে এসে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলে গিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জয়ী হলে কুড়মিদের বিষয়টি ভাবনাচিন্তা করা হবে। বাস্তবে কিছুই হয়নি। কুড়মি জনজাতির তফসিলি উপজাতির তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ৫ বছর ধরে শুধু রাজ্যের ঘাড়ে দোষ ঠেকে গিয়েছে কেন্দ্রের সরকার আর বিজেপি। কিন্তু নিজেরা কিছুই করেনি। ফলে এবার সেই সমর্থন কিন্তু আর পাবে না বিজেপি।

আরও পড়ুন- বসন্তেও পিছু ছাড়ছে না বৃষ্টি! সোমবারও ভিজতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ


 

Previous articleবসন্তেও পিছু ছাড়ছে না বৃষ্টি! সোমবারও ভিজতে পারে কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গ
Next articleজ্ঞানবাপী মসজিদে চলবে পুজো! নিম্ন আদালতের রায় বহাল এলাহবাদ হাই কোর্টের