“আবকি বার ৪০০ পার।” ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে এমনটাই বার্তা দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। এই টার্গেট পূরণ করতে রাজ্যে রাজ্যে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির। তবে এই বিশাল টার্গেট পূরণ কি আদৌ সম্ভব? যা নিয়ে বিজেপির অন্দরেও যথেষ্ট প্রশ্ন উঠছে। এহেন পরিস্থিতিতে বিজেপির টার্গেট নিয়ে মুখ খুললেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি জানিয়ে দিলেন, “৪০০ আসন শুধুই নির্বাচনী শ্লোগান। কোনওভাবেই এটা জনগণের মনের কথা নয়।”


এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষ্যে একাধিক বিষয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেন প্রশান্ত কিশোর। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ কি সত্যিই জয়ের রেকর্ড গড়তে চলেছে? সত্যিই কি ৪০০ আসন ছিনিয়ে নেওয়া সম্ভব? এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পিকে বলেন, এনডিএ’র ৪০০র বেশি আসন জয় বিজেপির নির্বাচনী শ্লোগান ছাড়া আর কিছু নয়। এটা কোনওভাবেই জনগণের মনের কথা নয়। তবে এবারের নির্বাচনেও মূল ফোকাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি কীভাবে কাজ করেন সেদিকে অবশ্যই নজর থাকবে।

পাশাপাশি বিরোধীদের প্রসঙ্গও উঠে এসেছে পিকের কথায়। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাহুলের এই সফরের নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে। নিঃসন্দেহে এটি জনসংযোগ যাত্রা। তবে এই যাত্রার সুফল নির্বাচনী ফলাফলে প্রতিফলিত হবে এমনটা নয়।” ব্যাখ্যা করে পিকে আরও জানান, “কর্নাটক, তেলেঙ্গানার মতো রাজ্যে এই কর্মসূচির সুফল কংগ্রেস পেলেও মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়ের মতো রাজ্যগুলিতে এর কোনও প্রভাব পড়েনি। এবং যেখানে কংগ্রেস জিতেছে সেখানে এই কর্মসূচির জন্য জয় এসেছে এমন ভাবাটা ভুল। বরং রাহুলের সমালোচনা করে পিকে বলেন, এখন কে টিকিট পাবে, আসন ভাগাভাগির ফর্মুলা কী হবে তা নিয়ে আলোচনা না করে তিনি এখন যাত্রায় ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে এই যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটা স্বাভাবিক।

উল্লেখ্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছে বিজেপি। দেশের অর্থনৈতিক বেহাল অবস্থা, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্বের মতো বিষয়গুলিকে চাপা দিতে বিজেপির তরফ থেকে তুলে ধরা হচ্ছে রাম মন্দির, জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের মতো ইস্যুগুলিকে। আর এই বিষয়গুলি হাতিয়ার করে ৪০০ আসনের টার্গেট নিয়ে মানুষের মনজয়ে ব্যস্ত গেরুয়া শিবির। তবে ৪০০ সংখ্যা ছুঁতে পারা যে বাস্তব নয় বিজেপি নিজেও সেটা জানে। সেটাই এবার স্পষ্ট করে দিলেন প্রসান্ত কিশোর















