মনিপুরে মেতেই সংগঠনের হামলা, অভিনব প্রতিবাদ পুলিশ কমান্ডোদের

পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান যে , যখন এই ধরণের পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণ জড়িয়ে থাকে, তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই পুলিশও সবসময় অপরাধীদের উচিত শিক্ষা দিতে পারেনা। কারণ সেক্ষেত্রে নিরীহ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে যায়।

কিছুতেই যেন শান্ত হচ্ছে না মনিপুর (Manipur Violence)। মঙ্গলবার রাতে কট্টরপন্থী মেতেই সংগঠন আরামবাই টেঙ্গোলের (Metei organization Arambai Tengol)প্রায় ২০০ সশস্ত্র সদস্য ইম্ফল পশ্চিমের এএসপি মইরাংথেম অমিতের (ASP Moirangthem Amit)বাসভবনে আক্রমণ করে। একজন এসকর্ট সহ তাঁকে অপহরণ করা হয়।পরে রাতেই নিরাপত্তাকর্মীরা দুজনকেই উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই ঘটনায় এবার অভিনব প্রতিবাদ দেখাল মনিপুরের পুলিশ কম্যান্ডোরা। তাঁরা রীতিমতো অস্ত্র নামিয়ে রেখে বার্তা দেন যাতে হিংসা এড়ানো যায়।

হামলা ও অপহরণের পরেই ইম্ফল পূর্ব, ইম্ফল পশ্চিম এবং বিষ্ণুপুরের মতো বিভিন্ন উপত্যকায় অবস্থানরত পুলিশ কমান্ডোরা বিক্ষোভে নেমে পরে। পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান যে , যখন এই ধরণের পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণ জড়িয়ে থাকে, তখন খুব স্বাভাবিকভাবেই পুলিশও সবসময় অপরাধীদের উচিত শিক্ষা দিতে পারেনা। কারণ সেক্ষেত্রে নিরীহ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা থেকে যায়। তিনি বলেন যে পুলিশ কমান্ডোদের প্রতিবাদ কেবল আরামবাই টেঙ্গোলের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধেই নয় বরং জনসাধারণের উদ্দেশ্যেও নির্দেশিত। তাই এই ধরণের অসামাজিক শক্তির বিরুদ্ধে জাতে শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা গুরুত্ব সহকারে পদক্ষেপ করতে পারে সেইদিকেও তাকিয়ে আছে পুলিশ। সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা মইরাংথেমের বাড়িতে হামলা চালালে সেখানে অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী পাঠানো হয় এবং গুলি বিনিময়ে দুজন আহত হয় বলে খবর। দুটি গাড়ি চুরির ঘটনায় পুলিশ মেইতেই গোষ্ঠীর কিছু সদস্যকে আটক করার পর মইরাংথেমের বিরুদ্ধে হামলা হয়। তবে এখনই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নয় জানিয়েছেন এক পুলিশকর্তা। আরামবাই টেঙ্গোল নামের সংগঠন বছর সাতেক আগে আরএসএস ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অঘোষিত পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছে বলেই খবর।