Thursday, August 28, 2025

কর তুলে নিয়েও বাংলাকে বঞ্চনা! ‘পাপের পয়সা’য় বিলাস-ভুয়ো প্রচার: সীতারমণকে তুলোধনা অভিষেকের

Date:

এটা বাপের নয়, পাপের পয়সা! রাজ্য থেকে করের টাকা তুলে নিয়ে গিয়ে বাংলাকেই বঞ্চনা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে তুলোধনা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনায় করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (X Handle) অভিষেক লেখেন, গত পাঁচ বছরে বাংলা থেকে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা কর বাবদ শোষণ করে নিয়েছে কেন্দ্র। তাই দিয়ে চলছে কেন্দ্রীয় উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের বিলাস আর ভুয়ো প্রচার। একে ‘পাপ কা পয়সা’ বলে তীব্র কটাক্ষ করেন অভিষেক।

বাংলার জব কার্ডধারীদের (MGNREGA) টাকা অন্যায়ভাবে আটকে রেখেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। বাংলা তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত। সীতারামণের ‘বাপ কা পয়সা’ মন্তব্যের পাল্টা মোক্ষম জবাব দিয়েছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। লিখেছেন, “সবিনয় এবং নম্রতার সঙ্গে, আমি অর্থমন্ত্রীকে বলতে চাই, এটি ‘বাপ কা পয়সা’ নয় বরং ‘পাপ কা পয়সা’।” কী ‘পাপ’ স্পষ্ট বুঝিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। গত পাঁচ বছরে বাংলা থেকে ৪,৬৫,০০০ কোটি টাকা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ কর হিসেবে শুষে নিয়েছে কেন্দ্র। অথচ রাজ্যকে তার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।

 

তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক লেখেন, “সাধারণ মানুষের ঘাম ঝরানো টাকা উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিকদের বিলাসবহুল বাসস্থান, ব্যয়বহুল বিমানযাত্রা এবং ভুয়ো খবর প্রচারে অপচয় করা হয়।”

বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা অন্যায়ভাবে আটকে রেখে দিয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকার। বঞ্চিতদের জবকার্ড হোল্ডারদের প্রাপ্য দিচ্ছে রাজ্য সরকার। গরিব মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১০০ দিনের কাজের টাকা ঢুকছে। মানুষের মুখে হাসি ফুটছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার ৫৯ লক্ষ জবকার্ড হোল্ডারদের টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। অথচ বাংলায় এসে রাজ্য সরকারকেই নিশানা করেন নির্মলা সীতারমণ। এদিন পোস্টে সেই মন্তব্যের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন অভিষেক।

 

Related articles

সাত লুকের ‘বহুরূপ’ সোহমের, চ্যালেঞ্জ নিয়ে চমকে দিলেন অভিনেতা

যা কখনও হয়নি তা এখন হবে, এবার হবে। সেলিব্রেটিদের রিল - রিয়েলের আলাদা রূপ আর লুক নিয়ে কম...

উন্মুক্ত শৌচমুক্ত ৯৪ পুরসভা, স্বচ্ছতার শংসাপত্র বাংলাকে

শহরাঞ্চলে আর খোলা শৌচের দৃশ্য নেই। পুরসভাগুলির উদ্যোগ এবং পুর দফতরের তদারকিতে উন্মুক্ত শৌচমুক্ত হয়েছে কলকাতা সহ রাজ্যের...

ফাঁকা কেন্দ্রগুলিতে দ্রুত ইআরও–এইআরও নিয়োগের নির্দেশ কমিশনের 

ফাঁকা পড়ে থাকা একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (ইআরও) এবং অ্যাসিসটেন্ট ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন আধিকারিক (এইআরও) নিয়োগের...

নথিভুক্ত অথচ নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে তলব করল কমিশন 

নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে ফের সক্রিয় হল রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। নথিভুক্ত হলেও কার্যত নিষ্ক্রিয় রাজনৈতিক দলগুলিকে শুনানিতে...
Exit mobile version