বিক্ষোভ চলাকালীন হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ! কৃষকদের ভিসা-পাসপোর্ট বাতিলের হুঁশিয়ারি হরিয়ানা পুলিশের

পুলিশের অভিযোগ, গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে ভাটিন্দার বাসিন্দা বছর বাইশের শুভকরণ সিংয়ের মৃত্যুর ঘটনায় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে পাঞ্জাব পুলিশ।

দিল্লি চলোর (Delhi Cholo) ডাক দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election) আগে কেন্দ্রের মোদি সরকারকে (Modi Govt) বেশ বেকায়দায় ফেলেছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা (Protesting Farmers)। সময় যত যাচ্ছে ততই উত্তপ্ত হচ্ছে পরিস্থিতি। এবার কৃষকদের আটকাতে বড় হুঁশিয়ারি ডবল ইঞ্জিন (Double Engine) হরিয়ানা পুলিশের (Hariyana Police)। বৃহস্পতিবার পুলিশ সাফ জানিয়েছে বিক্ষোভ চলাকালীন যারা হিংসা ছড়িয়েছেন বা হিংসাত্মক কাজকর্মে যুক্ত থেকেছেন তাঁদের ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করা হয়েছে। অবিলম্বে ওই সমস্ত বিক্ষোভকারীদের ভিসা (Visa) ও পাসপোর্ট (Passport) বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর।

পুলিশের অভিযোগ, গত ২১ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে ভাটিন্দার বাসিন্দা বছর বাইশের শুভকরণ সিংয়ের মৃত্যুর ঘটনায় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে পাঞ্জাব পুলিশ। পাশাপাশি খানৌরিতে বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে সংঘর্ষে একাধিক নিরাপত্তাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি প্রশাসনের। যদিও সেই সমস্ত দাবি উড়িয়ে বিক্ষোভকারী কৃষকদের দাবি, পুলিশের প্রতিরোধেই মৃত্যু হয়েছে শুভকরণের। এরপরই নিজেদের দোষ ঢাকতে অভিযুক্তদের ভিসা এবং পাসপোর্ট বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে হরিয়ানা পুলিশ।

মাঝে সাময়িক বিরতির পর ফের নতুন করে দিল্লি চলোর ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি থেকে পাঞ্জাব-হরিয়ানা সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। আর তাঁদের বাধা দিতে একেবারে ঢাল হাতে প্রস্তুত ডবল ইঞ্জিন হরিয়ানা পুলিশ। বিক্ষুব্ধ কৃষকদের ঠেকাতে কার্যত দুর্গে পরিণত করা হয় দিল্লি সীমান্তকে। পাশাপাশি লাঠি চার্জ, টিয়ার গ্যাস দিয়ে বারবার দিল্লি যাওয়ার রাস্তায় বন্ধ করার চেষ্টা করা হলেও কৃষকরা একেবারেই ভয় পেতে নারাজ। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দিল্লির দিকে এগিয়ে চলেছেন তাঁরা। এদিকে গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে আম্বালা, কুরুক্ষেত্র, কৈথাল, জিন্দ-সহ একাধিক জেলায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দিল্লি চলো অভিযান স্থগিত থাকার কারণে গত রবিবার থেকেই মোবাইল ইন্টারনেটের উপর থেকে সাময়িকভাবে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছিল। তবে নতুন করে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর থেকে তা ফের কার্যকরী করা হবে কী না তা নিয়ে ইতিমধ্যে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

Previous articleপার্থর জামিন মামলায় সিবিআই-কে স্থায়ী বাড়ি নেওয়ার পরামর্শ বিচারপতি বাগচীর
Next articleকেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বার্ষিক চুক্তি থেকে বাদ শ্রেয়স-ঈশান? সামনে এল কারণ