আজকের দিনে কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

২০০১

বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তি। এদিন থেকে পরবর্তী কয়েক সপ্তাহ ধরে বেশ কয়েক ধাপে বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তিগুলিকে ডায়নাইটে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ধ্বংস করা হয়। প্রথম কয়েক দিন, বিমান-বিধ্বংসী কামান দিয়ে তোপ দেগে মূর্তিগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়। এতদসত্ত্বেও মূর্তিগুলি ধ্বংসপ্রাপ্ত না হওয়ায় তালিবান তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী কদরতুল্লা জামাল হতাশা ব্যক্ত করেন। পরে, তালিবানরা মূর্তিগুলির নিচে ট্যাঙ্ক বিধ্বংসী মাইন লাগিয়ে দেয়। সর্বশেষে পাহাড়ের গা বেয়ে মূর্তিগুলির মধ্যে ফুটো করে বিস্ফোরক লাগিয়ে দেওয়া হয়। এ-ছাড়া রকেট দিয়েও মূর্তিগুলির মাথার অংশ নষ্ট করা হয়। বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তি ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় বুদ্ধমূর্তিগুলির মধ্যে অন্যতম। তালিবানদের হাতে ধ্বংস হবার আগে পর্যন্ত ষষ্ঠ শতাব্দীতে তৈরি দেড় হাজার বছরের পুরনো এই ঐতিহাসিক মূর্তিদুটি মধ্য আফগানিস্তানের বামিয়ান উপত্যকায় সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২৫০০ মিটার বা ৮২০০ ফিট উচ্চতায় একটি পর্বতগাত্রে খোদাই করা অবস্থায় দাঁড়িয়েছিল। বড় মূর্তিটির উচ্চতা ছিল ৫৫ মিটার আর ছোটটির উচ্চতা ছিল ৩৫ মিটার। এ-ছাড়াও ওই অঞ্চলের পর্বতগাত্রে আরও অনেক অপেক্ষাকৃত ছোট-ছোট বুদ্ধমূর্তিও খোদাই দেখতে পাওয়া যায়। ঐতিহাসিকদের মতে খ্রিস্টীয় ৩য় থেকে ১০ম শতক পর্যন্ত এই অঞ্চলে বৌদ্ধধর্মের প্রভাবে প্রভাবিত যে বিশেষ ধরনের শিল্পকলা বিকাশ লাভ করেছিল, এগুলি সেই গান্ধার শিল্পেরই উৎকৃষ্ট নিদর্শন। ইউনেস্কো এই মূর্তিগুলিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করেছিল।

১৮৮১

অতুলচন্দ্র ঘোষ (১৮৮১-১৯৬২) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। বিশিষ্ট স্বাধীনতাসংগ্রামী। আইন ব্যবসা ছেড়ে অসহযোগ, লবণ সত্যাগ্রহ ও ভারত ছাড়ো আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ১৯৪৭-এ লোকসেবক সংঘ প্রতিষ্ঠা করে বিহার সরকারের প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক নীতির সমালোচকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। মানভূমে বাংলা ভাষা আন্দোলন ও পুরুলিয়া জেলার পশ্চিমবঙ্গে অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে মুখ্যস্থপতি তিনি। তাঁর জনপ্রিয়তার কারণে তাঁর জীবদ্দশায় লোকসেবক সংঘ পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার থেকে কয়েকজন সাংসদ ও বিধায়ক লাভ করে।

১৮৯৫

নিভাননীদেবী (১৮৯৫-১৯৭৮) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র ৯ বছর বয়সে মা এবং ১৫ বছর বয়সে বাবাকে হারান তিনি। প্রখ্যাত অভিনেত্রী চুনীবালার কাছে মানুষ হন। ১১ বছর বয়সে অর্ধেন্দুশেখর মুস্তাফির ‘সমাজ’ নাটকে একটি বালকের চরিত্রে প্রথম মঞ্চাভিনয়। ‘বলিদান’ নাটকে অভিনয় করে প্রথমে তিনি খ্যাতি লাভ করেন। প্রায় পঞ্চাশ বৎসরের অভিনেত্রী জীবনে মঞ্চ ছাড়া ৩৫০টি ছায়াছবিতে অভিনয় করেছেন।

১৯৩০

ডেভিড হারবার্ট রিচার্ডস লরেন্স (১৮৮৫-১৯৩০) যিনি ডি এইচ লরেন্স নামে সমধিক খ্যাত তিনি এদিন প্রয়াত হন। ঊনবিংশ শতাব্দীর একজন প্রসিদ্ধ ইংরেজ লেখক, কবি, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক ও সাহিত্য সমালোচক। সাহিত্য সমালোচকদের মতে, তাঁর রচনাবলি আধুনিকায়ন ও শিল্পায়ন প্রসূত মানবিক অবক্ষয়ের দিকটি বিশদভাবে প্রতিফলিত করে। তাঁর রচনায় লরেন্স মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য ও তার গুরুত্ব, স্বাভাবিকতা প্রভৃতি বিষয়কে উপজীব্য করেছেন। তাঁর অন্যতম বহুলপঠিত উপন্যাস হল ‘লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার’ যা তৎকালে অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত ছিল।

১৯৯৭

পাকিস্তানে রবিবার আবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন হিসেবে গণ্য হতে শুরু করে। ১৯৪৭ থেকে ১৯৭৭, রবিবারই সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছিল। জেনারেল জিয়া উল হক এটি বদলে শুক্রবার করেন। এর দুই দশক বাদে, এদিন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের অনুরোধে ফের রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি ফিরিয়ে আনেন।

১৯৪৯

সরোজিনী নাইডু (১৮৭৯-১৯৪৯) শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। একাধারে কবি, রাজনীতিক ও বাগ্মী ছিলেন। ইংরেজি কবিতার জন্য তাঁকে ‘প্রাচ্যের নাইটিঙ্গেল’ বলা হত। ১৯১৫ থেকে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশগ্রহণ। আইন অমান্য ও লবণ সত্যাগ্রহে যোগ দেন। ১৯৩১-এর গোল টেবিল বৈঠকেও যোগ দিয়েছিলেন। স্বাধীনতার পর থেকে আমৃত্যু উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল ছিলেন।

Previous articleToday’s market price : আজকের বাজার দর
Next articleসরকারি ও দলীয় কর্মসূচিতে আজ কৃষ্ণনগরে মোদি