‘আমার ছেলেবেলা হারিয়ে গেছে’, দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে নস্টালজিক মুখ্যমন্ত্রী

গানের প্রতি ভালোবাসার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, " আমি সব গান ভালবাসি। বাবার আনা রেকর্ড প্লেয়ারে গান শুনে শুনে সেই সব কিছু মুখস্ত করতাম।"

দিদি নাম্বার ওয়ানে (Didi No 1) বাংলার দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় ঘড়ির কাঁটা আটটা ছোঁবে সেই দিকে তাকিয়ে প্রতীক্ষায় বসে ছিল বাঙালি। শুরু হল শো (Reality show)। আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি এলেন, অনুষ্ঠানে রইলেন এবং জয় করলেন বাংলার মানুষের মন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শৈশবের কথায় নস্টালজিক হয়ে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee) যখন ছেলেবেলার কথা জানতে চান, মমতা জানান তাঁর ছেলেবেলা হারিয়ে গেছে। তাঁর যখন ১০-১১ বছর বয়স তখন বাবা মারা যান। তাই ছোট থেকে নিজের হাতে রান্না করে স্কুলে যাওয়ার কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (CM)।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিঃসন্দেহে বাংলার দিদি নাম্বার ওয়ান। কিন্তু রচনা এই কথা বলা মাত্রই মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি ‘ইউনিভার্সাল দিদি’। আজকে একা হাতে যিনি গোটা রাজ্য সামলাচ্ছেন, একটা সময় ছিল যখন এভাবেই স্কুল- কলেজ- পড়াশোনা-সংসার সব দায়িত্ব পালন করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছেলেবেলার গল্প প্রসঙ্গে জানান, ছোটবেলার সময় পেলেই বাড়ির সামনে গঙ্গার ধারে ইট দিয়ে মন্দির তৈরি করতেন। জোয়ারের জল এসে সেই সব ভেঙ্গে দিত, কিন্তু এর মধ্যেই আলাদা একটা মজা ছিল। স্কুল জীবনের সরস্বতী পুজোর প্রস্তুতি থেকে আলপনা দেওয়া, ঠাকুর আনতে যাওয়ার কথা শোনা যায় তাঁর মুখে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, তাঁদের বাড়ির যে ঘাট সেখানে রানী রাসমণি আসতেন। শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের পদধূলিও পড়েছিল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা চেয়েছিলেন ওই ঘাট বাঁধিয়ে রাখতে। সেই কাজ মুখ্যমন্ত্রী করেছেন। নিজের সামান্য রোজগার থেকে মাকে হাত খরচ দেওয়ার মুহূর্ত গুলোর কথাও জানান তিনি। গানের প্রতি ভালোবাসার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ” আমি সব গান ভালবাসি। বাবার আনা রেকর্ড প্লেয়ারে গান শুনে শুনে সেই সব কিছু মুখস্ত করতাম।” দাদার সঙ্গে বয়সের পার্থক্য নিয়ে মজার গল্প শোনান। বলেন, অষ্টমীর সন্ধিক্ষণে তাঁর জন্ম আর পরের দিন সূর্যোদয়ের সময় তিনি চোখ খুলেছিলেন। সারাদিন ধরে বৃষ্টি হয়েছিল তাই আজও তৃণমূল কংগ্রেসের যে কোনও অনুষ্ঠানে বৃষ্টিকে সাধুবাদ জানান তিনি। মজার ছলে, গল্প, আড্ডায় অনায়াসে দিদি নাম্বার ওয়ানের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


Previous articleবিশ্ব শ্রবণ দিবসে জমজমাট Project Dhwani
Next articleআইপিএল শুরুর আগেই ধাক্কা গুজরাত শিবিরে, দুর্ঘটনার কবলে শুভমনের এই সতীর্থ