কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে তৈরি পোর্টাল, নির্বাচন নিয়ে রাজ্যকে নির্দেশিকা কমিশনের

বুধবার DG এবং মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক হয় কমিশনের। ডিএম-এসপিদের নিরপেক্ষ ভাবে ভোট পরিচালনার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

তিন দিনের রাজ্য সফরে এসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের (National Election Commission) ফুল বেঞ্চ। আজ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে একগুচ্ছ নির্দেশিকার কথা তুলে ধরেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajib Kumar)। ভোটে আর্থিক এবং পেশী শক্তির আস্ফালন যাতে না হয় সেই কথা মাথায় রেখে ছটি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভোটে কারচুপি এড়াতে বিশেষ পোর্টাল তৈরি করছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (National Election Commission)।

লোকসভা ভোটের (Loksabha Election 2024) প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে শহরে আসার পরই মঙ্গলবার রাজনৈতিক দলগুলির বক্তব্য এবং অভিযোগ শুনেছে কমিশন। সর্বদল বৈঠকে ছিল তৃণমূল-সহ মোট আটটি দল। বুধবার DG এবং মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক হয় কমিশনের। ডিএম-এসপিদের নিরপেক্ষ ভাবে ভোট পরিচালনার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অর্থশক্তির পাশাপাশি পেশীশক্তির ব্যবহার নিয়েও অভিযোগ জমা পড়েছে বলে জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তিনি জানান, আমলারা পক্ষপাতদুষ্ট বলে যে অভিযোগ জমা পড়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোটা দেশের মতোই এ রাজ্যেও সেন্ট্রাল ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান রাজীব কুমার। ভোট পূর্ববর্তী ও পরবর্তী হিংসা এড়াতে উপযুক্ত পদক্ষেপের পাশাপাশি রাজ্যের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।

লোকসভা ভোটে রাজ্যকে যা নির্দেশ দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন:

• গণতন্ত্রের সবথেকে বড় উৎসবের কোনও সন্ত্রাস বরদাস্ত নয়

• নির্বিঘ্নে স্বচ্ছ ভাবে ভোট করানোর কথা রাজ্যকে বলা হয়েছে

• কমিশন চায় অবাধ্য শান্তিপূর্ণ ভোট, টাকা লেনদেন বা মাদকজাত দ্রব্য আদান প্রদানে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে

• সরকারি কর্মীদের নিরপেক্ষ থাকতে হবে

• সব হেলিপ্যাডের উপর নজরদারি থাকবে

• ব্যাংকিং সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ার পর কোনও আর্থিক লেনদেন নয়

• ৮০ হাজার ৫২৩ টি পোলিং স্টেশন থাকছে। ৫০ শতাংশ পোলিং স্টেশনে ওয়েট কাস্টিং-এর ব্যবস্থা করা হবে

• সব রাজনৈতিক দলকে সমান সুযোগ সুবিধা দিতে হবে

• ভোটের সময় অনুপ্রবেশে নজরদারি, কোনও অশান্তি বরদাস্ত নয়

• ভোটে মহিলা পুলিশ কর্মীদের ব্যবহারে জোর

• সিভিক দিয়ে যাতে ভোট না করানো হয় সেই দাবি উঠেছে, এই নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে

• বয়স্ক এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের বাড়ি থেকে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে

• ভোটে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের বিশেষ দায়িত্ব পালন করতে হবে

• ভোট সংক্রান্ত কোনও অশান্তির অভিযোগ থাকলে উপযুক্ত প্রমাণ সহ নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত জানাতে হবে

• অভিযোগ পেলে পেলে ১০০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাবে কমিশনের দল

• কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের সব এজেন্সি নিয়ে বিশেষ পোর্টাল তৈরি করা হয়েছে

• সঠিকভাবে সিআরপিএফ জওয়ান মোতায়েন করতে হবে

• নির্বাচনের অন্তত পাঁচ দিন আগে সকলের কাছে ভোটার স্লিপ পৌঁছে যাওয়া বাধ্যতামূলক। কারোর কাছে স্লিপ না থাকলেও সচিত্র পরিচয় পত্রের মাধ্যমে ভোটদান করা যাবে


Previous articleলক্ষ্য তিন পয়েন্ট, গোয়াকে সমীহ লাল-হলুদ কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতের
Next articleট্রেন না দিয়ে বাধা কেন্দ্রের, ব্রিগেডের জনগর্জন সভায় প্রতিবাদের টর্নেডো হবে: হুঙ্কার মমতার