BJP-তে পা বাড়িয়েই নারদা মামলায় শুভেন্দুকে ক্লিনচিট! অভিজিৎকে তুলোধনা কল্যাণ-কুণালের

অথচ বিজেপিতে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়েই আরেক বিচারপতির রায়কে ভুয়ো বলতে বাধল না অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

যে শুভেন্দু অধিকারীর টাকা নেওয়ার ভিডিও নিজেদের পার্টি অফিসে বড় করে দেখিয়েছিল বিজেপি। তিনি গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেওয়াতেই ওয়াশিং মেশিনে গিয়ে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছেন। আর সেই ট্রেন্ডই বজায় রাখলেন সদ্য অবসর নেওয়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিজেপিতে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেই তিনি নারদার এফআইআর named শুভেন্দু অধিকারীকে ক্লিনচিট দিয়ে দিলেন। তাঁর মতে, বিরোধী দলনেতা নাকি চক্রান্তের শিকার! এই কথা বলে শুধু নিজেকেই হাস্যস্পাদ করলেন তাই নয়, তিনি বিচার ব্যবস্থাকেও অপমান করলেন। কারণ এই বিচার ব্যবস্থাই নারদা নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সিবিআই-এর খাতায় নাম রয়েছে শুভেন্দু অধিকারীর। এই নিয়ে বারবার সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। অথচ বিজেপিতে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়েই আরেক বিচারপতির রায়কে ভুয়ো বলতে বাধল না অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।

এরপরই তার এই মন্তব্য নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে প্রাক্তন বিচারপতির উদ্দেশ্যে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ শুরু করে দিলেন? শুভেন্দু অধিকারী সিবিআইয়ের এফআইআর নেমড। আপনি কথায় কথায় সিবিআই বলেন। যাকে ক্যামেরায় নারদা মামলায় টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, তাকে কীভাবে ক্লিনচিট দিলেন?অপনি বিচারব্যবস্থাকে অপমান করেছেন। আপনাকে সঠিক চিনেছিল তৃণমূল। বিজেপিতেও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।তদন্তের আগে শুভেন্দুকে ক্লিনচিট কেন? সঠিক লোককেই আক্রমণ করেছিল তৃণমূল। এসএসসির নবম দশমের নিয়োগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যখন আন্তরিক, বিষয়টা সমাধানে আন্তরিক, তখন উনি এমন এমন মন্তব্য করেছেন, এমন ভাষার মারপ্যাঁচ, যে নিয়োগ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। উনি তো কথায় কথায় সিবিআই দেন। উনি তৃণমূলের নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে যে যে অভিযোগ এনেছেন, তার একটাও প্রমাণ করতে পারবেন? এদিন কুণাল সাফ বলেন, মনে রাখুন, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নারদায় FIR করেছে ওনার প্রিয় সিবিআই। আর সেই তদন্ত এড়াতেই ওর দলবদল। আপনি তাঁকেও ক্লিন চিট দিচ্ছেন? শুভেন্দু বলেছিল নারদা কেসটি ‘প্রমাণিত’ সত্য। তারপরেও আপনার এই যুক্তি? এ তো দুর্নীতিগ্রস্তকে আড়াল করার নামান্তর। আপনি এসবে নেমে পড়লেন?

সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, উনি বিচারব্যবস্থার কলঙ্ক। ওনার রায় বারবার শীর্ষ আদালতে বাধা পেয়েছে।পাড়ার রকবাজদের মতো কথা বলেছেন।রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে বিচার করেছেন।উনি তরমুজ বিচারপতি। উনি সিপিএমের দয়া দাক্ষিণ্যে বিভিন্ন প্যানেলে ঢুকেছেন।সিপিএমের দয়া দাক্ষিণ্যে তৈরি হয়েছেন।কলকাতা হাই কোর্টের সবচেয়ে অপদার্থ বিচারপতি।নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ার গড়ে গেছেন। কল্যাণ এদিন ওপেন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, যে কোনও জায়গায় আসুন। আইন নিয়ে কথা হবে। ওকে কলকাতা হাই কোর্ট মনে করেনি সিনিয়র অ্যাডভোকেট বলে।সিপিএমের পায়ে ধরা লোক ছিল।ধনকড় এখানে রাজ্যপাল থাকাকালীন টেলিফোনে কথা বলত।শুভেন্দু অধিকারীর পায়ে ধরে বিজেপিতে গিয়েছে।উনি সমাজে মেশার মতো মানুষ নন। বাড়িতে আগে কার্ল মার্কসের ছবি ছিল। এখন বাড়িতে নরেন্দ্র মোদির ছবি টাঙিয়েছে।

 

 

 

 

 

Previous articleSBI-কে ঢাল করে ‘সন্দেহজনক লেনদেন’ লুকানোর চেষ্টা বিজেপির, দাবি বিরোধীদের
Next articleসামনেই শুরু ২০২৪ আইপিএল, তার আগে IPL-এ নিজের অভিজ্ঞতা জানালেন মাহি