SBI-কে ঢাল করে ‘সন্দেহজনক লেনদেন’ লুকানোর চেষ্টা বিজেপির, দাবি বিরোধীদের

দাখিল করা আবেদনে এসবিআই বলেছে, দাতার পরিচয় গোপন রাখা নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া কঠোর পদক্ষেপের কারণে, নির্বাচনী বন্ডের "ডিকোডিং" এবং দাতাদের অনুদানের সাথে মেলানো একটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ অনুশীলন।

নির্বাচনী বন্ড (electoral bond) ইস্যুতে এবার SBI-কে ঢাল করার অভিযোগে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হল কংগ্রেস। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের দাবি তথ্য প্রকাশ হয়ে গেলে লোকসভা নির্বাচনে সমস্যায় পড়বে বিজেপি। তাই রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্ক SBI সুপ্রিম কোর্টের কাছে চার মাস সময় বাড়ানোর আবেদন করেছে নির্বাচনী বন্ডের তথ্য প্রকাশের জন্য। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর “আসল মুখ” আড়াল করার জন্য লোকসভা নির্বাচনের আগে এটিকে “শেষ প্রচেষ্টা” বলে অভিহিত করেছেন।

সুপ্রিম কোর্ট ভারতের বৃহত্তম ব্যাঙ্ককে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বারা নগদকৃত বন্ডের বিশদ প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পরে, এসবিআই (SBI) শীর্ষ আদালতে গিয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেছিল। এসবিআই সোমবার সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী বন্ড সম্পর্কে তথ্য দেওয়ার জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ করেছে। দাখিল করা আবেদনে এসবিআই বলেছে, দাতার পরিচয় গোপন রাখা নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া কঠোর পদক্ষেপের কারণে, নির্বাচনী বন্ডের “ডিকোডিং” এবং দাতাদের অনুদানের সাথে মেলানো একটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ অনুশীলন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রশ্ন তুলেছেন, ‘বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে দাতাদের ৪৪,৪৩৪ টি স্বয়ংক্রিয় ডেটা এন্ট্রি মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রকাশ করা যেতে পারে এবং মিলিয়ে নেওয়া যেতে পারে। তাহলে কেন এসবিআইকে এই তথ্যগুলিকে একত্রিত করতে আরও ৪ মাস লাগবে?’

কংগ্রেসে সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে “সন্দেহজনক লেনদেন” লুকানোর জন্য দেশের প্রধান রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক কে ব্যবহার করার অভিযোগ করেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মহুয়া মৈত্র রাষ্ট্রায়ত্ত ঋণদাতা এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে “বন্ড” নিয়ে উপহাস করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেছেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট এর নির্দেশে নির্বাচনী বন্ডের বাধ্যতামূলক প্রকাশ কোন ব্যাপার না। একমাত্র এসবিআই এবং মোদিজির বন্ড যা গুরুত্বপূর্ণ।’ অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সাংভি দাবি করেছেন, নির্বাচনী বন্ড প্রকাশে কেন্দ্র সরকার ও এসবিআই-এর দেরি ও বিমুখতার কথা তিনি আগেই জানিয়েছিলেন। এসবিআই-এর আবেদনের পর সেটাই সঠিক প্রমাণিত হল। তিনি বলেন, ‘এসবিআই তথ্য প্রকাশে বাধা দেওয়ার জন্য কৌশল শুরু করেছে, বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচনের আগে। কারণ বিরোধীরা ‘নির্বাচনী বন্ড’ কে একটি প্রধান নির্বাচনী ইস্যু করতে পারে।’

Previous articleশুধু কুরুচিকর নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত! অভিষেককে কটাক্ষের পাল্টা অভিজিৎকে ধুয়ে দিল তৃণমূল
Next articleBJP-তে পা বাড়িয়েই নারদা মামলায় শুভেন্দুকে ক্লিনচিট! অভিজিৎকে তুলোধনা কল্যাণ-কুণালের