শুধু কুরুচিকর নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত! অভিষেককে কটাক্ষের পাল্টা অভিজিৎকে ধুয়ে দিল তৃণমূল

শুধু কুরুচিকর নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের আক্রমণের পাল্টা তোপ দাগলেন তৃণমূল তৃণমূল নেতৃত্ব। বিচারপতির আসন থেকেই রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হয়ে বিচার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Ganguli) বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার, বিচারপতি পদে ইস্তফা দিয়েই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে সেই অভিযোগেই সিলমোহর দিয়েছেন স্বয়ং অভিজিৎ। আর তার পরেই পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদের মতোই নেমে পড়েন বিরোধীদের আক্রমণ করতে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কিছু না বললেও, নাম না করে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নিশানা করেন অভিজিৎ। তাঁকে ‘তালপাতার সেপাই’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এমনকী ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির (BJP) টিকিটে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছেও প্রকাশ করেন। এর পাল্টা অভিজিৎকে ধুয়ে দিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

নাম করে অভিষেককে কটাক্ষ করার সাহস হয়নি। সেই কারণে বারবার ‘তালপাতার সেপাই‘ বলেছেন। এর প্রতিবাদে তীব্র আক্রমণ করে কুণাল ঘোষ বলেন, “অভিষেককে নিয়ে যে ভাষায় উনি কথা বলেছেন, সেটা শুধু কুরুচিকর নয়, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। মানুষের রায়ে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন অভিষেক। উনি কুকথা বলেছেন। রাজনীতির প্রথম দিনেই নিজের ভাষা বুঝিয়ে দিয়েছেন।“ কুণালের কথায়, অভিষেকের মতো তরুণ তুর্কিতে যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন, তাতে বোঝা যায় তাঁর মনে কী ধরনের বিষ ছিল। তাহলে, কীভাবে তিনি নিরপেক্ষ বিচার করেছেন? প্রশ্ন তোলেন কুণাল।

আরও পড়ুন: প্রাক্তন কংগ্রেস মন্ত্রীর স্ত্রীর বিরুদ্ধে সরকারি টাকা তছরুপের অভিযোগ

কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেন, সিবিআই আধিকারিকদের বলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করতে। কিন্তু তাঁরা জানিয়ে ছিলেন আইন ভেঙে এসব করতে পারবেন না। অভিষেক যে উচ্চতায় পৌঁছেছেন, সেখানে অভিজিতের দলের জাতীয় নেতারাও পৌঁছতে পারেননি। অভিষেক নেতৃত্ব দিয়ে যে ভাবে দিল্লিতে আন্দোলন করেছেন, সেটা বিজেপির কোনও নেতা করতে পারবে না। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও কল্যাণকে জানিয়েছিলেন, অভিষেককে দেখলে তাঁর তরুণ বয়সের মুলায়ম সিং যাদবদের মতো লড়াকু নেতার কথা মনে হয়। কেন একটা ছেলেকে এত আক্রমণ? সব বিজেপি নেতৃত্বের নিশানায় অভিষেক কেন? কারণ তাঁকে ভয় পাচ্ছে গেরুয়া শিবির। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিচারপতি থাকাকালীন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদককে গ্রেফতারের চেষ্টা করেছিলেন। তিনি ব্যর্থ হয়েছেন- বিস্ফোরক অভিযোগ কল্যাণের।

কুণাল জানান, তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, তিনি অভিষেকের গুণমুগ্ধ। যে বয়সে অভিষেক নেতৃত্বে উঠে এসেছেন তার প্রশংসা করেন তৎকালীন বিচারপতি। তাহলে, কী কারণে হঠাৎ বদল? তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ বলেন, যে দলে যোগ দিচ্ছেন, সেই বিজেপি নেতৃত্বকে খুশি করতেই হয়ত ভোলবদল প্রাক্তন বিচারপতির। এর পাশাপাশি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন অভিষেক। সেই মামলা এখনও চলছে। সেই আশঙ্কা থেকেই হয়ত আক্রমণ! তীব্র কটাক্ষ কুণালের।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হওয়ার মনোবাঞ্ছাও প্রকাশ করেন। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে, ডায়মন্ড হারবারের দাঁড়ালে গোহারা হারবেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ।

 

Previous articleবাংলার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেশের মধ্যে মডেল: মেদিনীপুরে বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
Next articleSBI-কে ঢাল করে ‘সন্দেহজনক লেনদেন’ লুকানোর চেষ্টা বিজেপির, দাবি বিরোধীদের