নরেন্দ্র দাভোলকার হত্যায় যাবজ্জীবন দুজনের, প্রমাণের অভাবে বেকসুর ৩!

২০১৩ সালে নিজের বাড়ির কাছে হাঁটতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন মহারাষ্ট্র অন্ধশ্রদ্ধা নির্মূলন সমিতির প্রধান নরেন্দ্র দাভোলকার।

প্রায় ১১ বছর পরে মহারাষ্ট্রের সমাজকর্মী নরেন্দ্র দাভোলকারের খুনের ঘটনায় দোষীদের সাজা শোনালো পুনের স্পেশাল কোর্ট। দাভোলকারের উপর গুলি চালানোয় অভিযুক্ত দুজনকে যাবজ্জীবনের সাজা শোনায় আদালত। তবে সিবিআই-এর তদন্তাধীন এই ঘটনায় প্রমাণের অভাবে মুক্তি পেয়ে যায় আরও তিন অভিযুক্ত। রায়ের পরই দাভোলকারের পরিবারের দাবি, গুলি চালানো দুজনের শাস্তি হলেও তাঁদের পিছনে যারা আসল অভিযুক্ত, চক্রান্তকারী, তাদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। তিন অভিযুক্তর মুক্তির ঘটনায় কার্যত সিবিআই-এর ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়েছে।

২০১৩ সালে নিজের বাড়ির কাছে হাঁটতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন মহারাষ্ট্র অন্ধশ্রদ্ধা নির্মূলন সমিতির প্রধান নরেন্দ্র দাভোলকার। গুলি চালায় দুই সাইকেল আরোহী। এরপরেই মহারাষ্ট্রে অন্ধবিশ্বাস বিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত গোবিন্দ পানসারে, এম এম কালবুর্গি ও সাংবাদিক গৌরি লঙ্কেশও খুন হন ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে। দাভোলকারের মৃত্যুর প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে পুনে সিটি পুলিশ। ২০১৪ সালে বম্বে হাইকোর্টের একটি নির্দেশে সিবিআই এই খুনের তদন্ত শুরু করে। দাভোলকারের খুনের সঙ্গেই পরের তিনটি খুনের তদন্তও যুক্ত হয়।

ঘটনায় অভিযুক্ত হিসাবে নাম উঠে আসে শরদ আন্দুরে, শচিন কালাসকার, দন্ত বিশেষজ্ঞ তাওড়ে, সঞ্জীব পুনালেকর ও বিক্রম ভাবের। এরা সবাই উগ্র সনাতন ধর্মীয় সংগঠন সনাতন সংস্থার সক্রিয় সদস্য। তবে শুক্রবারের রায়ে গুলি চালানোয় অভিযুক্ত আন্দুরে ও কালাসকারকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা ও ৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেয় আদালত। অন্যদিকে বাকি তিনি অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পেয়ে যাওয়ার আক্ষেপ প্রকাশ করেন দাভোলকারের পরিবার। তাঁদের দাবি যদি মূল ষড়যন্ত্রকারীদের না ধরা যায় তবে এরপরে যারা খুন হয়েছেন তাঁদের মৃত্যুর তদন্তও অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে।

Previous articleকে দিয়েছিলেন শ্রেয়স-ঈশানকে শাস্তি? মুখ খুললেন বোর্ড সচিব জয় শাহ
Next articleঅভিষেক-ম্যাজিকে আসানসোলের রাস্তায় জনসুনামি