নন্দীগ্রামে (Nandigram)আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস (TMC), অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর গুন্ডাদের বিরুদ্ধে। নন্দীগ্রামের মহেশপুর ব্লকে যেভাবে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের উপর চড়াও হয়েছে বিজেপির দুষ্কৃতীরা, তার বিরোধিতা করে এদিন তোপ দাগলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Sashi Panja)। ব্রিগেডে বাংলার ‘জনগর্জন সভা’র (Janogorjon Sabha) জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে প্রস্তুতি শিবির চলছে। নন্দীগ্রামেও একই কর্মসূচি চলছিল আর সেখানেই রক্তাক্ত হতে হয় ঘাসফুলের কর্মী সমর্থকদের। প্রধানমন্ত্রী যেদিন বাংলায় এসে বড় বড় বক্তব্য রাখছেন, সেদিন শুভেন্দুর গুন্ডারা শাসকদলের কর্মীদের উপর যেভাবে চড়াও হয়েছেন তা কি ভোট পূর্ববর্তী হিংসার ইঙ্গিত দেয় না, বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে প্রশ্ন তুলেছেন মন্ত্রী।

এ ঘটনা নতুন নয়। বাংলার মানুষ এর আগেও দেখেছেন যেদিন অমিত শাহ বঙ্গে আসেন সেদিনই পরিকল্পিতভাবে তৃণমূলকে টার্গেট করে বিজেপি। যেদিন প্রধানমন্ত্রী বাংলায় আসেন ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতে, সেদিন বিজেপির হিংসাত্মক কাজকর্ম গতি পায়। তাহলে সবটাই কি দিল্লির মদতে হচ্ছে, প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন শশী পাঁজা বলেন, বিজেপির শীর্ষ নেতারা বঙ্গে এসে কি বিশেষ কোনও উপদেশ দিয়ে যান যে কারণে রাজ্যের বুকে বিজেপি রক্ত নিয়ে খেলা করে? নন্দীগ্রামে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূলের তরুণ প্রজন্ম। সকলেই মমতা -অভিষেকের বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছিলেন। শশী পাঁজা বলেন বিজেপি বুঝে গেছে ব্রিগেডে শুধু তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক বা নেতৃত্বই নয়, বাংলার প্রতিটি বঞ্চিত মানুষ উপস্থিত হবেন। তাই কখনও ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হচ্ছে, কখনও আবার কর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। বিজেপি যেভাবে ভোট পূর্ববর্তী হিংসা শুরু করেছে তার তীব্র প্রতিবাদ করেন মন্ত্রী। তিনি জানান বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে। রাজ্য সঙ্গীতের সময় বিধানসভায় বিজেপির অসভ্যতার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি। শশী পাঁজা অভিযোগ করেন এই সবটাই হচ্ছে দিল্লির নির্দেশে যাতে বাংলাকে উত্তপ্ত করা যায়, বাংলার মানুষকে ভোটের আগে বিভ্রান্ত করা যায়। সবটাই বাংলাকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা। নন্দীগ্রামের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে মন্ত্রী জানান আহতদের পাশে আছে তৃণমূল পরিবার। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
