বাড়ছে প্যারট ফিভারে মৃত্যু, সতর্ক করছে WHO

এই রোগে আক্রান্ত হলে ৫ দিন থেকে ১৪ দিন পরেও লক্ষ্মণ দেখা যেতে পারে। মূলত মাথা ব্যথা, পেশিতে যন্ত্রণা, শুকনো কাশি, জ্বর ও প্রবল শীত অনুভূত হয়।

বিশ্বের বেশ কিছু দেশে সিটাকোসিস (psittacosis), যার পোশাকি নাম প্যারট ফিভার (parrot fever), তার সংক্রমণ বাড়ছে। সেই সঙ্গে ২০২৪ সাল শুরুর পর থেকে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই এই রোগ নিয়ে সতর্ক করছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।

২০২৩ সালে অস্ট্রিয়া, ডেনমার্ক, সুইডেন, জার্মানির মতো দেশে প্যারট ফিভারের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছিল। বিভিন্ন পাখি – বন্য, গৃহপালিত, পোল্ট্রি – পাখির মাধ্যমে প্যারট ফিভার ছড়িয়ে থাকে। ব্যাকটেরিয়া বাহিত এই রোগে আক্রান্ত পাখির মধ্যে রোগের কোনও লক্ষ্মণ না দেখা গেলেও তারা রোগ ছড়াতে সক্ষম হয়। এই পাখির দেহরসের (secretions) অংশ ছড়িয়ে থাকা কোনও বস্তু নিঃশ্বাসের মধ্যে নিলে এই রোগ ছড়াতে পারে। রোগগ্রস্থ পাখির কামড়ে আক্রান্ত বা পাখির ঠোঁটে সরাসরি চুম্বন থেকেও এই রোগ ছড়ায়। তবে রোগগ্রস্থ পাখির মাংস খেলে এই রোগ ছড়ায় না।

তবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুসারে মানুষের মাধ্যমে মানুষের শরীরে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা এখনও দেখা যায়নি। এই রোগে আক্রান্ত হলে ৫ দিন থেকে ১৪ দিন পরেও লক্ষ্মণ দেখা যেতে পারে। মূলত মাথা ব্যথা, পেশিতে যন্ত্রণা, শুকনো কাশি, জ্বর ও প্রবল শীত অনুভূত হয়। ২০২৪ সালে এখনও পর্যন্ত ইউরোপের দেশগুলিতে ৬৬ জন প্যারট ফিভার আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে। মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। এই রোগ মহামারি আকার ধারণ না করে তার ওপর নজরদারি জারি রেখেছে হু।

Previous articleতমলুক থেকেই প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়? প্রাক্তন বিচারপতির নামে শুরু বিজেপির দেওয়াল লিখন
Next articleবিমান উড়তেই বড়সড় অঘটন! অল্পের জন্য প্রাণ বাঁচল ২৩৫ যাত্রীর