শনির সন্ধ্যায় রবীন্দ্র মূর্ছনা: ‘কবিগুরুর গানে শান্তনু’

বসন্ত সন্ধ্যায় কবিগুরুর সৃষ্টিকে সকলের সামনে তুলে ধরলেন সংগীতশিল্পী শান্তনু রায়চৌধুরী (Shantanu Roychowdhury)। নানা ধারার গানে তাঁর অবাধ যাতায়াত তবু ‘কবিগুরুর গানে শান্তনু’ জানার পর থেকেই শ্রোতাদের আর যেন তর সই ছিল না। রবীন্দ্রসদন (Rabindra Sadan) প্রেক্ষাগৃহে একক অনুষ্ঠানে শান্তনু গাইলেন বিচিত্র ধারার ২৩টি রবীন্দ্র সংগীত (Rabindra Sangeet)। কিছু আবার হিন্দি অনুবাদে। করতালিতে এক অনন্য মুহূর্তের সাক্ষী হল প্রেক্ষাগৃহ।

স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার (SBI )সহযোগিতায় আয়োজিত হল এই রবীন্দ্র সন্ধ্যা। উপস্থিত ছিলেন এসবিআই-এর কলকাতা শাখার চিফ জেনারেল ম্যানেজার প্রেম অনুপ সিনহা। শিল্পী শান্তনু রায়চৌধুরী তালিম নিয়েছেন রবীন্দ্র সংগীত ও শাস্ত্রীয় সংগীতের। পাশাপাশি আধুনিক গানেও তাঁর গভীর দখল। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই শোনান ‘শ্রাবণের ধারার মতো পড়ুক ঝরে’। উদ্বেল হয় শ্রোতাদের মন। দ্বিতীয় গান ‘মেঘ বলেছে’-র হিন্দি অনুবাদ। তারপর একে একে পরিবেশিত হয়েছে ‘কোথা হতে বাজে প্রেমবেদনা রে’, ‘তুমি কেমন করে গান করো হে গুণী’-র হিন্দি অনুবাদ, ‘প্রখর তপন তাপে’, ‘আজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারে’-র হিন্দি অনুবাদ, ‘কৃষ্ণকলি আমি তারেই বলি’, ‘দাঁড়িয়ে আছো তুমি’-র হিন্দি অনুবাদ, ‘আমার হিয়ার মাঝে’ – শিল্পীর আন্তরিক পরিবেশনকে লেখ্য ভাষায় ফুটিয়ে তোলা মুশকিল। বেশ কিছু স্বল্পশ্রুত গানও ধ্বনিত হয় শান্তনুর কণ্ঠে। কখনও ‘যদি তোর ডাক শুনে’-র হিন্দি অনুবাদ, ‘আঁধার রাতে একলা পাগল’, ‘ওই মালতিলতা দোলে’-র হিন্দি অনুবাদ, আবার কখনও ‘স্বপ্নমদির নেশায় মেশা’, ‘পিনাকেতে লাগে টঙ্কার’-এর হিন্দি অনুবাদ। তাঁকে যোগ্য সংগত করেছেন যন্ত্রসংগীত শিল্পীরা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কী অদ্ভুত এক মোহময়তায় দর্শকদের আবিষ্ট করে রাখলেন শান্তনু রায়চৌধুরী।