অতীতে অনেক ঐতিহাসিক সভার সাক্ষী থেকেছে ব্রিগেড প্যারেড (Brigade Parade Ground) গ্রাউন্ড। ব্রিগেড দেখেছে বঙ্গ বন্ধু মুজিবর রহমান, নিকিতা ক্রুশ্চেভের মতো বিদেশের রাষ্ট্রনেতাকেও। সাক্ষী থকেছে ইন্দিরা গান্ধী, জ্যোতি বসু, বুদ্ধদেব ভট্টাচর্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো জননেত্রীকে। কিন্তু এমন বন্দোবস্ত বোধ হয় কখনও দেখেনি ময়দান। দেখেনি কলকাতা, বাংলা এমনকি, দেশও। তৃণমূলের (TMC) সৌজন্যে যা ‘অভূতপূর্ব’!

লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে রবিবার তৃণমূলের জনগর্জন সভা উপলক্ষে ব্রিগেডের মঞ্চকে যে ভাবে সাজিয়ে তুলছে শাসকদল, তা দৃশ্যতই অভিনব! ভিক্টোরিয়ার দিকে পিছন করে মাঝে মূল মঞ্চ, তার দুপাশে আরও দুটি মঞ্চ। মূল মঞ্চের মাঝখান থেকে নেমে গিয়েছে ‘র্যাম্প’। ৩০০ মিটারের বেশি লম্বা সেই প্ল্যাটফর্ম। তার মাঝামাঝি জায়গা থেকে ডান দিক এবং বাঁ দিকে আরও প্রায় ১০০ মিটার করে লম্বা দুই ডানা। মূল মঞ্চের উপর থেকে সব মিলিয়ে দেখতে লাগছে যোগচিহ্নের মতো। বক্তৃতা করতে করতে সেই র্যাম্প ধরে হেঁটে জনতার আরও কাছে পৌঁছে যেতে পারবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্রিগেডে যে ধরনের র্যাম্প তৈরি হয়েছে, তা সাধারণত দেশ-বিদেশের বড় বড় ‘কনসার্ট’ আয়োজনে হয়ে থাকে।

এই র্যাম্প আবার মাথাব্যথার কারণ হয়েছে পুলিশে। কারণ, মমতা বা অভিষেক যখন র্যাম্প ধরে মানুষের কাছে পৌঁছে যাবেন, তখন অনেক অত্যুৎসাহী সমর্থক তাঁদের কাছে আসার জন্য হুড়োহুড়ি লাগিয়ে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটবে। তাই কলকাতা পুলিশের বড় কর্তার ঘন ঘন ব্রিগেড পরিদর্শনে আসছেন। প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা করছেন। তাঁদের চিন্তা র্যাম্পের সামনের অংশ নিয়ে। পুলিশ সূত্রে খবর, র্যাম্পের তিন দিকে যে ফাঁকা জমি বা ‘ব্লক’ রয়েছে, সেখানে নিরাপত্তা অনেক বেশি জোরদার করতে হবে।
