আজকের দিনে কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক

১৯৯৪
দেবিকা রানি

(১৯০৮-১৯৯৪) এদিন প্রয়াত হন। ভারতীয় সিনে-পর্দার প্রথম সম্রাজ্ঞী, বম্বে টকিজ়ের ফার্স্ট লেডি, দ্য রয়্যাল বেঙ্গল টাইগ্রেস। প্রথম মঞ্চাবির্ভাব জন্মশহর ওয়াল্টেয়ারে, চার বছর বয়সে। নারদ মুনির চরিত্রে আশ্চর্য রঙিন অভিনয় করে সবাইকে তাজ্জব করে ছেড়েছিলেন। কয়েক বছর বাদেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে পড়তে আসা এই নাতনিটিকে আলাদা করে লক্ষ্য করলেন। সুকুমারবিদ্যা, চারুশিল্প, নাচ-গানে তুখড়। বাবা ও মা দু’দিক দিয়েই রবি ঠাকুরের আত্মীয়া দেবিকা। কাকা তো খাস ‘বাংলার বীরবল’ প্রমথ চৌধুরী। ভারতীয় সবাক ছবি ‘কর্ম’ মুক্তি পেয়েছে। ইংরেজিতে সে ছবি দেখে ধন্য ধন্য করেছে হলিউড। জয়নগরের রাজার ভূমিকায় হিমাংশু রায় যে দাপট দেখাবেন, সে তো প্রত্যাশিত। কিন্তু সীতাপুরের রানির ভূমিকায় প্রথম বার দেবিকাকে পর্দায় দেখে বিদেশি পত্র-পত্রিকা ফেটে পড়ল প্রশংসায়! ‘ডিভা’, ‘ভারতের স্ক্রিন গডেস’ তকমা দেওয়া হল তাঁকে। কেউ বললেন অজন্তার গুহাচিত্র, কেউ লিখলেন তাঁর ভেলভেটের আঁখিপল্লব। তাঁর ইংরেজি উচ্চারণ শুনে মনে হল যেন পিয়ানোয় ঝঙ্কার উঠল। তাঁর অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘অচ্ছুৎ কন্যা’, ‘জীবন নাইয়া’, ‘জীবন প্রভাত’, ‘প্রেম কহানি’ ইত্যাদি। পেয়েছেন পদ্মশ্রী ও দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার। চলচ্চিত্র জগৎ থেকে অবসর নেওয়ার পর দেবিকা ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে রুশ চিত্রশিল্পী স্বেতোস্লাভ রোয়েরিখকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর মানালি শহরে বসবাস শুরু করেন। শ্বাসনালির সংক্রমণের ফলে এই শহরেই দেবিকার মৃত্যু ঘটে।

১৮৫৮

মদনমোহন তর্কালঙ্কার (১৮১৭-১৮৫৮) এদিন শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ছোটবেলার স্কুল পাঠ্যে ‘পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল/ কাননে কুসমকলি সকলি ফুটিল’ এ কবিতা পড়েননি এমন বাঙালি হাতে গোনা। এই কবিতার কবি মদনমোহন তর্কালঙ্কার। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে মদনমোহন ছিলেন সবার বড়। ১৮২৯ সালে সংস্কৃত কলেজে পড়তে গিয়ে বিদ্যাসাগরের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব হয়। ইয়ং বেঙ্গলের প্রতিষ্ঠাতা ডিরোজিওর উদ্যোগে সে সময়ে দেশ জুড়ে চলছে কুসংস্কার, নানা সামাজিক অসাম্যের বিরুদ্ধে ও ইংরেজি স্ত্রী শিক্ষার প্রসারের জন্য আন্দোলন। ইয়ংবেঙ্গলের অন্যতম সদস্য রামতনু লাহিড়ীর বাড়িতে থাকার সুবাদে মদনমোহনও সেই আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তারপর থেকে ১৮৫৮ সালে মৃত্যুর আগে পর্যন্ত মদনমোহন শিক্ষা এবং সামাজিক সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত থাকেন। ১৮৪৯ সালে বেথুন সাহেব যখন এদেশের মেয়েদের জন্য ‘ক্যালকাটা ফিমেল স্কুল’ স্থাপনে মদননোহন ছিলেন তাঁর প্রধান সহযোগী। বিনা বেতনে তিনি ওই স্কুলে পড়াতেন। শুধু তাই নয় তিনি তাঁর দুই মেয়ে ভুবনমালা এবং কুন্দমালাকে ওই স্কুলে ভর্তি করেন। শিশুদের জন্য লেখেন ‘শিশু শিক্ষা’ নামে একটি বই। এর ঠিক পরেই তিনি লেখেন ‘স্ত্রীশিক্ষা’ নামে একটি বই। যেখানে তিনিই প্রথম বলেছিলেন শিশুকে শিক্ষিত করতে গেলে মায়েরই শিক্ষা আগে দরকার।

১৯৩৪

ইউরি গ্যাগারিন

(১৯৩৪-১৯৬৮) এদিন জন্মগ্রহণ করেন। সোভিয়েত বৈমানিক এবং নভোচারী। তিনি সর্বপ্রথম ব্যক্তি যিনি মহাকাশ ভ্রমণ করেন, তিনি ভস্তক নভোযানে করে ১৯৬১ সালের ১২ এপ্রিল, পৃথিবীর কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করেন। সেদিন ২৭ বছর বয়স্ক গ্যাগারিন কাজাখস্তানের রকেট উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে ৩০ মিটার উঁচু রকেটে বসে মহাকাশে নিক্ষিপ্ত হবার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। যখন স্থানীয় সময় ঠিক ন’টা বেজে সাত মিনিটে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়, তখন গ্যারিন বলে উঠলেন— ‘‘চলো, যাই”! সেই সময় রকেট থেকে শুরু করে নভোযান এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে কেউই শতভাগ নিশ্চিত ছিলেন না। এমনকী মহাশূন্যে পৌঁছতে পারলেও ভেতরের মানুষটি বাঁচবে কিনা তা-ও ছিল অজানা। বড় সমস্যা হয়েছিল নেমে আসার সময়। নভোযানের মূল ক্যাপসুলকে যে তারটি সার্ভিস ক্যাপসুলের (যন্ত্রপাতি এবং পাইলটের ব্যবহারের জিনিসপত্র ভর্তি অংশ) সঙ্গে যুক্ত করে রাখে ফিরে আসার সময় সেটি আলগা হচ্ছিল না। ফলে ভূপৃষ্ঠে অবতরণের সময় গ্যাগারিনের ক্যাপসুলটি অনেক ভারী ছিল যেটি হওয়ার কথা ছিল না। ফলে ক্যাপসুলের ভেতরের তাপমাত্রা বিপজ্জনক মাত্রায় গরম হয়ে গিয়েছিল। ক্যাপসুল মাটিতে পড়ার আগে গ্যাগারিন প্যারাসুটে করে সেটি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন। নিরাপদে ভলগা নদীর কাছে এসে নামেন।

Previous articleব্রিগেডে তৃণমূলের রেকর্ড জমায়েত, যান চলাচল সচল রাখতে শনিবার রাত থেকেই পথে বাহিনী
Next articleঅভিনব আয়োজনের সাক্ষী ব্রিগেড, র‍্যাম্পে হেঁটে মানুষের মাঝে মমতা-অভিষেক! নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনি