ব্রিগেডে তৃণমূলের রেকর্ড জমায়েত, যান চলাচল সচল রাখতে শনিবার রাত থেকেই পথে বাহিনী

রাত পোহালেই শহরের বুকে তৃণমূলের (TMC) “জনগর্জন” (Janagarjan)! রবিবার রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) ব্রিগেড সমাবেশ। লোকসভার আগে এই সভাকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা তৈরি হয়েছে। এই সভা থেকেই দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রাজ্যের ৪২টি আসনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিতে পারেন। যেখানে একাধিক চমকের সম্ভাবনা রয়েছে বলে খবর। এই মঞ্চেই এমন কিছু ব্যক্তিত্ব তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন, যা ধারণার বাইরে বলেই মনে করা হচ্ছে।

দূরের জেলাগুলি থেকে ইতিমধ্যেই শহরে আসতে শুরু করেছে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। নিউটাউন, গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তাঁদের থাকা, খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।অন্যদিকে, রবিবার ভোর থেকেই শহরতলী ও কলকাতার আশেপাশের জেলা থেকে একের পর এক মিছিল ও গাড়ি ব্রিগেডমুখী হবে। ছুটির দিন হলেও, রেকর্ড জমায়েতের জন্য শহরে যানজট হবেই ধরে নিয়ে তা যাতে দ্রুত সামলানো যায়, তার জন্য সচেষ্ট হল কলকাতা পুলিশ। ওই দিন কয়েক হাজার গাড়ি-বাস সমর্থকদের নিয়ে শহরে আসবে। দূরের জেলা থেকে সমর্থকদের নিয়ে গাড়ি ও বাস আসতে শুরু করবে আজ, শনিবার রাত থেকেই। তাই রাত থেকেই যাতে গাড়ির পার্কিং নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট জায়গাতে হয়, তার জন্য তখন থেকেই রাস্তায় নামছে কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের বিশেষ দল।

ইতিমধ্যেই ট্র্যাফিক পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন লালবাজারের পুলিশকর্তারা। সেখানে গাড়ি পার্কিং যাতে ঠিক ভাবে করা হয়, তার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। ছুটির দিন হওয়ায় অন্য গাড়ির চাপ কম থাকব। ফলে শহরের বাকি অংশে যাতে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকে, সে দিকেও নজর দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্ধারিত ১৫টি পার্কিং লট যাতে ঠিক মতো ব্যবহার করা হয়, তা দেখার জন্য বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

লালবাজার জানিয়েছে, পার্কিংয়ের জন্য ব্রিগেডের আশপাশের সব রাস্তাকে পাঁচটি ভাগ করা হয়েছে। সেখানে শনিবার রাত ১০টা থেকে মোতায়েন থাকবে ট্র্যাফিক পুলিশের বিশেষ বাহিনী। প্রতিটি সেক্টরের দায়িত্বে থাকছেন এক জন করে ইনস্পেক্টর। সঙ্গে থাকবেন দু’জন ট্র্যাফিক সার্জেন্ট এবং ২৬ জন পুলিশকর্মীর একটি বাহিনী। তাঁরাই ব্রিগেডমুখী গাড়িগুলিকে নির্দিষ্ট জায়গায় পার্কিংয়ে সাহায্য করবেন।

রবিবার সমাবেশের সময়ে যান চলাচল ঠিক রাখা ও নির্দিষ্ট জায়গার পার্কিং করার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য শহরকে দশটি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। রবিবার ভোর ৪টে থেকে ওই দশটি সেক্টরে মোতায়েন করা হবে বাহিনী। প্রতি সেক্টরের দায়িত্বে থাকছেন এক জন অ্যাসিটান্ট কমিশনার। ওই দশটি সেক্টরকে আবার ৭৪টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেখানে দায়িত্বে থাকছেন এক জন করে ইনস্পেক্টর। তাঁর অধীনে থাকছে বাহিনী। তাঁরা ভোর থেকে শহর স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন বলে লালবাজার সূত্রে খবর।

Previous articleBreakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next articleআজকের দিনে কী ঘটেছিল? চলুন দেখে নেওয়া যাক