মুখোমুখি ‘প্রাক্তন’, চব্বিশের নির্বাচনে একে অন্যের প্রতিপক্ষ সুজাতা-সৌমিত্র!

২০১৯ সালে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে সুজাতার উপর আস্থা রেখেছিলেন বিজেপি সাংসদ। মাঝে কেটেছে বেশ কয়েকবছর, বদলেছে চেনা সমীকরণ। প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল তাঁর প্রতিপক্ষ হওয়ায় চিন্তা বাড়ল সৌমিত্রর?

দুজনেই আজ একে অন্যের ‘প্রাক্তন’। দাম্পত্যে ফুলস্টপ দিয়ে নিজেদের মতো করে ব্যক্তিগত জীবন এগিয়ে নিয়ে চলেছেন সৌমিত্র খাঁ ও সুজাতা মণ্ডল (Soumitra Khan & Sujata Mondal)। কিন্তু না চাইলেও ফের দুজন মুখোমুখি। রাজনীতি একে অন্যকে ‘প্রতিপক্ষ’ করে তুলেছে। এবার সম্মুখ সমরে চর্চিত দুই নাম সুজাতা-সৌমিত্র । একজন তৃণমূলের টিকিটে লোকসভা ভোটে লড়বেন, অন্যজন একই আসন জিততে হাতে পেয়েছেন বিজেপির টিকিট। বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর সৌমিত্রর চেনা ময়দান, সুজাতারও। ২০১৯ সালে নির্বাচনী বৈতরণী পার করতে সুজাতার উপর আস্থা রেখেছিলেন বিজেপি সাংসদ। মাঝে কেটেছে বেশ কয়েকবছর, বদলেছে চেনা সমীকরণ। প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল তাঁর প্রতিপক্ষ হওয়ায় চিন্তা বাড়ল সৌমিত্রর? কতটা আত্মবিশ্বাসী সুজাতা?

২০১৬ সালের জুলাই মাসে বড়জোড়ার বাসিন্দা সুজাতার সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন সৌমিত্র। ২০১৯ সালে সস্ত্রীক সৌমিত্র যোগ দেন বিজেপিতে। গত লোকসভা নির্বাচনে আদালতের নির্দেশে নিজের এলাকাতেই প্রবেশাধিকার হারান সাংসদ। তাঁকে কার্যত একাই জিতিয়েছিলেন সুজাতা। এরপর দাম্পত্যে ফাটল। ব্যক্তিগত সম্পর্ক প্রভাব ফেলে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারেও। ২০২১ সালে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন সুজাতা। বদলে যায় স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের সমীকরণ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আলাদা হয়ে যান দুজনেই। কিন্তু ভোটের ময়দানে আবার দেখা। তবে একে অন্যের জন্য নয় এবার লড়াই একে অন্যের বিরুদ্ধে। রবিবার বিষ্ণুপুর কেন্দ্র থেকে সুজাতা মণ্ডলের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। লড়াই জমজমাট। দাম্পত্যের খারাপ স্মৃতি উঠে আসবে প্রচারে, নাকি লড়াই হবে রাজনীতির নিয়ম মেনেই?

নাম ঘোষণা হতেই সুজাতা খোঁচা দিলেন প্রাক্তন স্বামীকে। তাঁর কটাক্ষ, “আমার প্রতিপক্ষ কোনও কাজ করেনি। গত ১০ বছরে কোনও কাজ করেননি। করলে একটা কাজ প্রমাণ-সহ দেখান। মানুষ তাঁকে কতদিন পাশে পেয়েছেন?” সুজাতাকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবেই গুরুত্ব দিতে নারাজ সৌমিত্র। কে জিতবে, কার হবে পরাজয় – উত্তর দেবে ইভিএম।

সৌমিত্র খাঁ প্রসঙ্গ উঠতেই তৃণমূল প্রার্থী সুজাতার সোজাসাপ্টা জবাব, “আমি তাঁর নাম উচ্চারণ করব না। কারণ, আমার তাতে রুচিতে বাধে। আমি শুধু একটাই কথা বলব, বিষ্ণুপুরের মানুষকে উনি যেভাবে ঠকিয়েছেন, দলের মানুষের পর্যন্ত পাশে থাকেননি… আজ আমি নিশ্চিত সেই মানুষটাকে বিষ্ণুপুরের আমজনতা ছুড়ে ফেলে দেবে।”


Previous articleলোকসভা নির্বাচনে শাসকদলের তুরুপের তাস তরতাজা ১০ প্রার্থী
Next articleব্রিগেডে ব়্যাম্প মাতানো রচনাকে দিয়েই হুগলিতে লকেট কাঁটা তুলবে তৃণমূল?