সম্মতিতে সহবাসে বিবাহিত মহিলা ধর্ষিতা গণ্য করা হবেন না: সুপ্রিম কোর্ট

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ মহিলা নিজের অভিযোগে ২০১৮ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের দাবি করেন। অথচ অভিযোগ করার সময়ও তিনি আগের বিয়ে থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন না।

বিবাহিতা মহিলার সম্মতিতে অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কের (relationship) ক্ষেত্রে ধর্ষণের অভিযোগ গ্রাহ্য করল না দেশের সর্বোচ্চ আদালত। মধ্যপ্রদেশের একটি মামলায় এক ব্যক্তিতে বেকসুর খালাস করল সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি সি টি রবিকুমার ও বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের ডিভিশন বেঞ্চ। উল্টে অভিযোগকারিনী মহিলাকে চরম ভর্ৎসনা শুনতে হয় আদালতে।

মধ্যপ্রদেশের সাতনা মহিলা থানায় এক মহিলা ধর্ষণের (rape) অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর বাড়ির ভাড়াটিয়া এক যুবকের বিরুদ্ধে। নিজের সন্তান ও বাবা-মাকে নিয়ে থাকা ওই বিবাহিতা মহিলা স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্না ছিলেন না। সেই অবস্থাতেই ভাড়াটিয়া ১০ বছরের ছোট অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ২০২০ সালে মহিলা ওই যুবককে আইনি বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি মহিলাকে আগের বিবাহ থেকে মুক্ত হওয়ার দাবি জানান। যদিও ইতিমধ্যেই তাঁদের সামাজিক বিয়ে হয়ে গিয়েছিল।

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ জানান মহিলা। মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের (Madhyapradesh High Court) নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অভিযুক্ত যুবক সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ মহিলা নিজের অভিযোগে ২০১৮ সালে বিবাহ বিচ্ছেদের (divorce) দাবি করেন। অথচ অভিযোগ করার সময়ও তিনি আগের বিয়ে থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন না। ২০২১ সালে তিনি বিবাহ বিচ্ছিন্না হন। সেই প্রসঙ্গে পুলিশের তদন্তকে কটাক্ষ করেন বিচারপতি। সেই সঙ্গে আদালতের পর্যবেক্ষণ মহিলা নিজের প্রাক্তন স্বামীকেও ঠকিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে বিবাহিত অবস্থায় নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ায় প্রাপ্ত বয়স্ক হিসাবে তাঁর এতে সম্মতি ছিল। দশ বছরের ছোট যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াও তাঁর নিজের পরিণত সিদ্ধান্ত। এই প্রেক্ষিতেই আদালত অভিযুক্ত যুবককে বেকসুর খালাস করে।

Previous articleকেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে আজ দেশজুড়ে কৃষকদের ‘রেলরোকো’
Next articleমোদির গুণগান গাইলেই বিপদ! ভোটের মুখে দিল্লির মহিলাদের ‘আজব নিদান’ কেজরিওয়ালের