আজ ব্রিগেডে ‘জনগর্জন সভা’ তৃণমূলের, লোকসভা ভোটের আগে দলনেত্রীর বার্তা শোনার অপেক্ষায় কর্মী-সমর্থকরা

লোকসভা ভোটের (Loksabha Election) আগে রবিবার ব্রিগেডে (Brigade) তৃণমূলের (TMC) ‘জনগর্জন’ সভা (Jana Garjan)। লোকসভা ভোটের আগেই বাংলায় ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি(Narendra Modi)। এমন আবহেই রবিবার তৃণমূলের (TMC) ব্রিগেড। ফলে দলের কর্মী সমর্থকরা তাকিয়ে রয়েছেন লোকসভা ভোটের আগে কী বার্তা দেন দলনেত্রী ও সেনাপতি। মূলত বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদেই এই বিক্ষোভ কর্মসূচি। ইতিমধ্যে, বাংলার খেটে খাওয়া মানুষদের প্রাপ্য টাকা আটকে বাংলাকে ভাতে মারার চেষ্টা মোদি সরকারের। তবে ইতিমধ্যে বাংলার বঞ্চিত মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের হকের টাকা নিজে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে সেই কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। রবিবারের সভায় যোগ দিতে ইতিমধ্যেই জেলা থেকে আসতে শুরু করেছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। সকাল থেকেই হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে কর্মী সমর্থকদের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাশাপাশি ফেরি ঘাটেও সকাল থেকে উপচে পড়া ভিড় চোখে পড়ছে। এদিন ২৯টি মিছিল সোজা ব্রিগেডে আসার কথা। সব মিছিলেই থাকছে পুলিশি নজরদারি। হাওড়া স্টেশন, শিয়ালদহ স্টেশন, হাজরা স্টেশন, ইনডোর স্টেডিয়াম, শ্যামবাজার সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে বড় বড় মিছিল আসার কথা রয়েছে।

দূর দুরান্তে থাকা কর্মী সমর্থকরা আগেভাগেই চলে এসেছেন কলকাতায়। বিভিন্ন জায়গায় তাঁদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। জনগর্জন সভায় যোগ দিতে আসা তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে হাওড়া, কলকাতার গীতাঞ্জলী স্টেডিয়াম, নেতাজি ইন্ডোর, ইকোপার্ক-সহ একাধিক জায়গায়। সেইসব জায়গায় গিয়ে কর্মীদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মনে করা হচ্ছে রবিবারের সভা থেকেই লোকসভা ভোটের সুর বেঁধে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর এদিন  তৃণমূলের ব্রিগেডে থাকতে পারেন বাংলার বাইরের তৃণমূল নেতৃত্বরাও। থাকতে পারেন সুস্মিতা দেব, সাকেত গোখলে, মুকুল সাংমা, রাজেশ ত্রিপাঠি, কীর্তি আজাদ, শত্রুঘ্ন সিনহা, সাগরিকা ঘোষদের মতো হেভিওয়েটরা। শনিবার বিকেলের দিকে ব্রিগেডে মঞ্চ তৈরি ও অন্যান্য ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে এদিনের সভা ঘিরে আঁটসাঁট নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিগ্রেড সভা স্থলের আশপাশে ৩ জন যুগ্ম কমিশনার ও ২১ জন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার থাকছেন বলে খবর। একইসঙ্গে থাকছে QRT, ১১টি অ্যাম্বুলেন্স ও দমকলের ৪ ইঞ্জিন। ব্রিগেড সমাবেশের জন্য ১৬০০ পুলিশ প্রস্তুত থাকছে। ৩০০ অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদা অফিসার, ইনস্পেকটর, সাব-ইনস্পেকটর থাকছে বলে খবর।

এবার তৃণমূলের মঞ্চের বিশেষত্ব হল মঞ্চে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছে একটি বিশাল র‍্যাম্প। সেই পথ ধরে হেঁটে অর্থাৎ জনগণের মধ্যে দিয়ে গিয়ে মঞ্চে উঠবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই র‍্যাম্প পরীক্ষা করে দেখেন অভিষেক। মাইকের আওয়াজও পরখ করে নেন একদফা। মূল মঞ্চের পাশেই থাকছে ভিডিয়ো ওয়াল। এমনই তিনটি ওয়াল থাকছে সভায়। মূল যে মঞ্চ সেটি ৭২ ফুট। মাটি থেকে তা ১২ ফুট উপরে। মঞ্চতে এসে যে র‍্যাম্পটি যোগ হয়েছে সেটির দৈর্ঘ ৩২০ ফুট। জনগর্জন সভার জন্য মোট ৩টি মঞ্চ করা হয়েছে। তার একটিতে থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। অন্য দুটির একটিতে বুদ্ধিজীবী, আমন্ত্রিত ব্যক্তি, তৃতীয় মঞ্চে থাকবেন তৃণমূলের সাংসদ-বিধায়করা।

 

Previous articleবাংলার বিরুদ্ধে ‘চক্রান্তে’ না, পদত্যাগে বাধ্য করা হল নির্বাচন কমিশনারকে!
Next articleরবিবাসরীয় ব্রিগেডে তৃণমূলের ‘জনগর্জন’! যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নজর কলকাতা পুলিশের