ক্ষণে ক্ষণে ভোলবদল। রবিবার টিকিট না পেয়ে শকড ছিলেন। সোমবার ফিরহাদ হাকিমের ফোনে কথা বলার পর জানিয়েছিলেন, সব ঠিক হয়ে গিয়েছে। দল আমাকে যা করতে বলবে আমি করব। অনুগামীদের ভোট উপভোগ করতে বলেছি। এড়িয়ে গিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার কথা। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মঙ্গলবার নিজের অফিস থেকে সরিয়েই ফেললেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ‘সেনাপতি’ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। আক্ষেপ করে বললেন, তৃণমূলের কাছে আমি আনওয়ান্টেড। সেই সঙ্গে ইঙ্গিত দিলেন, ফের ফুল বদলাতে পারেন অর্জুন। বললেন, পার্থ ভৌমিকের সঙ্গে অর্জুনের লড়াই হওয়া উচিত, মানুষের আবেগ আছে মোদিজির সঙ্গে !

পঞ্চায়েত ভোটের আগে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছিলেন ব্যারাকপুরের সাংসদ। কিন্তু এবার তাঁকে লোকসভায় লড়ার টিকিট দেওয়া হয় নি। তারপর থেকে ‘শকড’ তিনি। আক্ষেপের সুরে বললেন, আমাকে বেইজ্জত করা হল। এদিন অর্জুন জানিয়ে দিলেন, ‘কয়েকদিনের মধ্যেই জানতে পারবেন আমি তৃণমূলে আছি, না নেই। তাঁর প্রতিটি বাক্যেই আক্ষেপ, হতাশা স্পষ্ট। অভিমানের সুরে বললেন,তৃণমূলে আমাকে কেউ চায় না । আমার দেড় বছর নষ্ট হয়েছে। আমি কী এমন বলেছিলাম? ব্যারাকপুরে লড়তে চেয়েছিলাম।সেইসঙ্গে ফের ব্যারাকপুরেরই প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিলেন। কিন্তু কোন দলের হয়ে লড়বেন অর্জুন? তা স্পষ্ট করেননি তিনি। জোর জল্পনা, বিজেপির টিকিট না পেলে নির্দল হয়ে লড়বেন অর্জুন সিং।

মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক করে অর্জুনের দাবি, দল আমাকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। যেভাবে ব্যবহার করেছে, তাতে বার বার অপমানিত হয়েছি। ফিরহাদ ফোন করেছিলেন, ললিপপ দেওয়ার জন্য। কিন্তু আমি তো সামনে থেকে লড়তে ভালোবাসি। মানুষের সমর্থন মোদিজির সঙ্গে আছে। তবে কি তিনি নির্দল হিসাবে ভোট ময়দানে থাকছেন? তারও কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত দেননি। বরং জল্পনা জিইয়ে রেখে বলেছেন, জানি না। তবে ব্যারাকপুর থেকে লড়াই করব। আমার হৃদয়ে ব্যারাকপুর। এখানেই আমি বরাবর কাজ করে এসেছি । এখন দেখার আদৌ কেনদিকে ঝোঁকেন ব্যারাকপুরের সাংসদ।
