লেনদেনের কারণেই নিমতায় খুন ব্যবসায়ী: জানালেন পুলিশ কমিশনার, ধৃত ২

0
1

ভবানীপুরে (Bhawanipore) ব্য়বসায়ী ভব্য লাখানির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পিছনে কারণ ব্যবসায়ীক লেনদেন। বুধবার, লাখানির বাড়ি গিয়ে একথা জানান কলকাতার পুলিশ (Police) কমিশনার বিনীত গোয়েল (Binit Goyel)। জানান, ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার (Arrest) করা হয়েছে।

সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন ভব্য লাখানি। মঙ্গলবার ব্যবসায়ীর স্ত্রী নেহা লাখানি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। এদিন নিমতা থানার অন্তর্গত একটি বাড়ি থেকে ভবানীপুরের ওই ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার করে বালিগঞ্জ থানার পুলিশ (Police)। অভিযোগ, খুনের পর দেহ বস্তাবন্দি করে জলের ট্যাঙ্কের নীচে পুঁতে রাতারাতি সেখানে পাঁচিল তুলে দেন অভিযুক্তেরা। খবর পেয়েই, শিলিগুড়ি থেকে ফিরে সোজা ভবানীপুরের লাখানিদের বাড়ি যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সঙ্গে ছিলেন বিনীত গোয়েল। মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে পুলিশ কমিশনার জানান, “থানায় অভিযোগ দায়েরের পরই তদন্ত শুরু হয়। খোঁজ পেয়ে অনির্বাণ গুপ্ত যার সঙ্গে ওই ওষুধ ব্যবসায়ীকে দেখা গিয়েছিল তাকে থানায় ডাকা হয়। এরপর আরও তদন্তের ভিত্তিতে তার সঙ্গী সুমন দাসকে জেরা করা হয়। জেরার মুখে সুমন দাস হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে অনির্বাণ গুপ্তও একথা স্বীকার করে নেন। এরপরই অনির্বাণ গুপ্তর বাড়ি থেকে ওষুধ ব্য়বসায়ী ভব্য লখানির দেহ উদ্ধার করা হয়।“

খুনের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে আর্থিক লেনদেনের তত্ত্ব জানান বিনীত গোয়েল। তাঁর কথায়, টাকা লেনদেনের বিষয় কথা বলার জন্য সোমবার দুপুরে অনির্বাণ গুপ্ত ওই ব্যবসায়ীকে ডেকে পাঠান। তিনি পৌঁছলে টাকা পয়সার বিষয় কথা কাটাকাটির মধ্যেই ভব্য লাখানিকে খুন করা হয়। এরপরই দ্বিতীয় ব্যক্তি সুমন দাসকে ডেকে এনে ওই ব্যবসায়ীর দেহ ট্যাঙ্কের নীচে রেখে পাঁচিল তুলে দেওয়া হয়।

এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা জানতে তদন্ত চলছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত গ্রহণ করেছে হোমিসাইড শাখা। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অনির্বাণ গুপ্ত ও সুমন দাসকে। এই ঘটনাটি আগে থেকে পরিকল্পিত বলেও আপাতত মনে হচ্ছে বলেও জানান পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।