Saturday, August 23, 2025

আজ খুঁটিপুজো করলাম, বিসর্জন মে মাসের শেষে: বিজেপি মিথ্যে প্রতিশ্রুতির ভিডিও দেখিয়ে হুঙ্কার অভিষেকের

Date:

”আজ খুঁটিপুজো করলাম, বিসর্জন মে মাসের শেষে”- বৃহস্পতিবার, জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ময়নাগুড়ির জনগর্জন সভা থেকে হুঙ্কার দিলেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। একই সঙ্গে মোদির গ্যারেন্টি যে আসলে জিরো ওয়ারেন্টি সেটা সভা মঞ্চেই ২টি ভিডিও দেখিয়ে প্রমাণ করলেন অভিষেক।

গত লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের প্রায় সবকটি কেন্দ্রে জনসমর্থন পেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তার পরে আর সেই সমব বিজেপি নেতাদের দেখা যায়নি। উল্টে বাংলার প্রাপ্য আটকাতে কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছেন বাংলা গেরুয়া শিবিরের নেতারা। সেই উদাহরণ তুল ধের এবার উত্তরের ভোটাদের থেকে সমর্থন চাইলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, কথা দিয়ে কথা রাখেননি নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তিনি যা কথা দিয়েছেন, তা রেখেছেন। অভিষেক (Abhishek Banerjee) বলেন, ‘‘কার গ্যারান্টি নেবেন? আমি এক কথার ছেলে। কথা দিয়ে কথা রাখি’’। তিনি জানান, ‘‘কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। অমিত শাহের ডেপুটি। সেখানকার ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার শ্রমিকের টাকা বন্ধ করে রাখা হয়েছে। নিশীথ কি একটাও চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রকে? জলপাইগুড়ির সাংসদও কি একটাও চিঠি দিয়েছেন? শ্রমিকদের টাকা আটকে। এই জন বার্লা, মনোজ টিগ্গারা কি কোনও চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রকে? এই টাকা খেটে খাওয়া টাকা। আপনি পারবেন বাড়িতে কাউকে কাজ করিয়ে টাকা না দিতে?’’

এর পরই একটি ভিডিও দেখান। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বাংলার মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিই সার। বাড়ি পাওয়া তো দূরস্ত, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাজ করিয়েও ১০০ দিনের টাকা দেওয়া হয়নি। তীব্র আক্রমণ করে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘খুঁটিপুজো আজ করলাম, বিসর্জন মে মাসের শেষ সপ্তাহে করব।’’

বিজেপির ধর্মীয় উস্কানিমূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে সুর চড়ান অভিষেক। তাঁর কথায়, ’’রাম মন্দির হয়েছে, কিন্তু আপনারা মাথার ছাদ পাননি। তিন জেলায় বিজেপির সাংসদ আছে, পাঁচ বছরে বৈঠক করেনি। মানুষ চাইলে ঔদ্ধত্য ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে।’’ এদিন ফের একবার তাঁর প্রতিশ্রুতিমতো ধূপগুড়ি মহকুমা হওয়ার কথাও মনে করিয়ে দেন অভিষেক। বলেন, ’’আমি এক কথার ছেলে। কথা দিয়ে কথা রাখি।“

মোদিকে তীব্র আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, “এক জন লক্ষ্মীর ভান্ডার দিচ্ছেন, রেশন দিচ্ছেন, সব দিচ্ছেন। অন্য জন নিচ্ছেন, তিনি বাংলা বলতে পারেন না, বুঝতে পারেন না। কার গ্যারান্টি নেবেন?“ তাঁর বার্তা, “২০২১ সালে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেখে ভোট দিয়েছেন, পেয়েছেন। ২০২৪ সালে যাঁকে ইচ্ছা ভোট দিন, নিজের অধিকার সামনে রেখে দিন।“




Related articles

ডেঙ্গি সংক্রমণ রুখতে তৎপর রাজ্য! জেলাগুলিকে একগুচ্ছ কড়া নির্দেশ মুখ্যসচিবের 

রাজ্যে ডেঙ্গি সংক্রমণ ক্রমশ বাড়তে থাকায় শনিবার নবান্নে জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব...

দায় বেসরকারিকরণ নীতির! মোদিরাজে পাঁচ বছরে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষাধিক কর্মী

মোদি সরকারের আমলে বিগত পাঁচ বছরে চাকরি হারিয়েছেন লক্ষাধিক সরকারি কর্মী। সম্প্রতি লোকসভায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিল কেন্দ্র।...

পুজোর আগে প্রায় দ্বিগুণ দুধ উৎপাদনে বাংলার ডেয়ারি 

কলকাতা এবং সংলগ্ন জেলাগুলিতে প্যাকেটজাত দুধের জোগান বাড়াতে রাজ্য সরকারি ব্র্যান্ড বাংলার ডেয়ারি বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে। পুজোর...

পিছনে দৌড়! স্নাতক স্তরে বৈদিক গণিত আনার চেষ্টা UGC-র

গোটা বিশ্ব গণিতের ক্ষেত্রে যেখানে নতুন উদ্ভাবনী ধারণা নিয়ে আসছে, সেখানে ভারতের শিক্ষা ক্ষেত্রে পিছন দিকে হাঁটা শুরু...
Exit mobile version