বাবা সুপ্রিম কোর্টের (SC) রন্ধনকর্মী, নিজে কোন স্বপ্ন দেখেননি যাতে মেয়ের স্বপ্নপূরণ হতে পারে। দীর্ঘদিনের লড়াই শেষে আমেরিকার শীর্ষ আইন বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্সে চান্স পেলেন অজয় কুমার সামালের (Ajay Kumar Samal) কন্যা প্রজ্ঞা। এহেন আনন্দের খবরে খোদ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (D Y Chandrachud) শুভেচ্ছা জানালেন মেধাবী ছাত্রীকে। ‘শেফ’ বাবার দুচোখে তখন আনন্দের অশ্রু।

দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে শীর্ষ আদালতে রান্নার কাজ করেন অজয়। সংসারের দারিদ্রতা ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। কিন্তু বাহ্যিক কোনও প্রতিরোধে যে মেধাকে বিকশিত হওয়া থেকে আটকাতে পারে না, তার জলজ্যান্ত প্রমাণ প্রজ্ঞা। আইন নিয়ে পড়ার জন্য আমেরিকার দুটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্কলারশিপ পেয়েছেন তিনি। আদালত চত্ত্বরেই প্রজ্ঞাকে স্বাগত জানিয়ে সুপ্রিম আদালতের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘প্রজ্ঞা প্রমাণ করেছে যদি কিছু অর্জন করতে আপনি নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকেন, তাহলে কখনই হেরে যেতে পারেন না।’ প্রজ্ঞার এই সাফল্যের পিছনে রয়েছেন তাঁর মা বাবা। তাঁদেরও সম্মানিত করা হয়। CJI-এর শুভেচ্ছায় প্রজ্ঞার চোখে জল, কেঁদে ভাসাচ্ছেন বাবাও। সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে এ যেন সত্যিই এক বিরল দৃশ্য।
