Wednesday, December 3, 2025

নির্বাচনী বন্ড নিয়ে সরব কপিল সিব্বল, সিট গঠনের দাবি

Date:

Share post:

লোকসভা নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনী বন্ডকে কেন্দ্র করে সরগরম দেশের রাজনীতি। ইতিমধ্যেই, সুপ্রিম কোর্টের নির্ধারিত সময়সীমার একদিন আগেই নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে দেয় নির্বাচন কমিশন।আর এবার নির্বাচনী বন্ডকে টু জি কেলেঙ্কারির সঙ্গে তুলনা করে তদন্তের জন্য বিশেষ সিট গঠনের দাবি জানালেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ কপিল সিব্বল।

তাঁর দাবি, বিজেপি যেভাবে নির্বাচনী বন্ডে সুবিধা নিয়েছে, তা দেখে অবাক গোটা দেশ। সিট গঠন করে তদন্ত হলে প্রকাশ্যে আসবে অনেক কিছুই। এর পাশাপাশি, তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পিএম কেয়ারেও কারা অনুদান দিয়েছে এই বিষয়েও নজর দেওয়া উচিত। কোন কোন রাজনৈতিক দল কোথা থেকে কত টাকা পেয়েছে তাও সামনে আসা প্রয়োজন।

সিব্বল বলেন, “সিবিআই বা ইডি তদন্ত নয়, দায়িত্ব কোর্টের। কোর্ট কী করবে। টু জি-র মত এই বিষয়েও কোর্টের একটি সিট গঠন করা উচিত। যা যা অনুদান দেওয়া হয়েছে, যারা যারা অনুদান দিয়েছে সেগুলি প্রকাশ্যে আসা প্রয়োজন। কিছু তো এরকম কোম্পানি আছে যারা লোকসানে চলছে, তারাও টাকা দিয়েছে। কোনও কোম্পানি এরকম আছে যাদের লাভের পরিমাণ কম কিন্তু অনুদানের পরিমাণ অনেকটাই। এসবকিছুই তদন্ত সাপেক্ষ।”

সিব্বলের মতে, “ভারতে দুটি সবথেকে বড় স্ক্যাম হয়েছে।এক তো নোট বন্দির ঘটনা। যার আজ পর্যন্ত কোনও তদন্ত হয়নি। দ্বিতীয় ওর থেকেও বড় এই নির্বাচনী বন্ড। কারণ এই নির্বাচনী বন্ডের ফলে, যতটা এদের পুঁজি চাই তা সংগ্রহ করে, দুনিয়ার সর্ববৃহৎ পুঁজিপতি পার্টি হিসেবে বিজেপি এসেছে। এখন দেখার দেশের আইন এই বিষয়টিকে কি ভাবে দেখে।” একইসঙ্গে তাঁর কটাক্ষ “নির্বাচনী বন্ড যা প্রকাশ্যে এসেছে তার মধ্যে অনেক ফাঁক রয়েছে। তদন্তেও অনেক ফাঁক রয়েছে” বলে। একইসঙ্গে, “পিএম কেয়ারে কে কে অনুদান দিয়েছে সেটাও দেখা প্রয়োজন। পুরো বিষয়টিই তদন্ত সাপেক্ষ” বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

রাজ্যসভার সাংসদ বলেন, “আমি মনে করি নির্বাচনী বন্ডের বিষয়টি একটি পরিকল্পনা ছিল। আর এই পরিকল্পনাটি করেন আমাদের প্রাক্তন  কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন এর মাধ্যমে হয়তো অন্য কোনও দল আমাদের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবেনা এবং সেটাই সত্যি হয়েছে। যার কাছে পয়সা তার কাছেই খেল” বলেও বিজেপিকে তোপ দাগেন বিশিষ্ট আইনজীবী।

 

 

spot_img

Related articles

আদালতের রায়ে বহাল ৩২ হাজার প্রাথমিক নিয়োগ, হাইকোর্ট চত্বরে অকাল হোলিতে মাতলেন শিক্ষকরা

দীর্ঘ দু’ বছর ধরে লড়াই, অনিশ্চয়তা আর সামাজিক উপহাস—সবকিছু কাটিয়ে অবশেষে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা।...

ছত্তিশগড়ে মাওবাদী বিরোধী অভিযান: নিহত ১২ জঙ্গি, প্রাণ গেল ৩ জওয়ানের

মাওবাদী দমনে বড়সড় সংঘর্ষ ছত্তিশগড়ে। সংঘর্ষে মাওবাদীদের মৃত্যু হলেও এবার প্রাণ গেল জওয়ানদের। বিজাপুরে (Bijapur) সংঘর্ষে প্রাণ হারালো...

হিসাবে কমছে দেশের বেকারত্ব! অভিষেকের প্রশ্নের জবাবে সংখ্যাতত্ত্ব পেশ কেন্দ্রের

জিডিপি-র অঙ্কে ভারত ক্রমশ উন্নতি করছে। জিডিপি বৃদ্ধির হারে রেকর্ড করে গত তিন মাসে প্রভূত উন্নতি হয়েছে দেশের,...

সত্যের জয়: শিক্ষকদের শুভেচ্ছা শিক্ষামন্ত্রীর, রায়কে স্বাগত কল্যাণের, বিরোধীদের বিঁধলেন কুণাল

সত্যের জয় হল। বহাল প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের...